ইসলামের সবকয়টি বিধানই নির্ভূল ও সর্বাঙ্গ সুন্দর । রোযা শুধু যে আত্মার নয়, দেহের সুস্থতারও সহায়ক, সে খবর অনেকেই রাখে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে এই সত্যটিকে আমি তুলিয়া ধরিবার চেষ্টা করিয়াছি।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। সারা বিশ্বে আজ বিজ্ঞানের জয়-জয়কার। বিজ্ঞানের যুক্তি-প্রমান ছাড়া কেউ কিছু মানিতে রাযি নয়। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও আজ বিজ্ঞানের আধিপত্য। বিজ্ঞান আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত, অতএব তাহা ইসলাম বিরোধী হইতে পারে না।
রোয়া ইসলামের পাচঁটি স্তম্ভের অন্যতম। অথচ মুসলিম সমাজের এক শ্রেনীর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগন রোযাকে অস্বীকার করে এবং উহা পালন করে না। তাহা ছাড়া অনেক চিকিৎসাবিদও হাইপার এসিডিটি,পেপটিক আলসার প্রভৃতি রোগীকে রোযা রাখতে নিষেধ করিয়া থাকেন। অবশ্য অসুখ অবস্থায় রোযা রাখা ইসলাম নিষেধ করিয়াছে কিন্তু তলাইয়া দেখা প্রয়োজন সত্যি কি উল্লিখিত অসুখগুলি রোযা রাখিলে বাড়িয়া যায় ?
আমি যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করিয়াছি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ, বিশেষ করিয়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের উপর রোযার কি কি শুভ প্রতিক্রিয়া হয় তাহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে। আশা করি এই ক্ষুদ্র রচনাটি পড়িয়া বাংলা ভাষা ভাষী চিকিৎসক ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণ যাহারা রোযাকে বড় ভয় এবং অস্বীকার করিয়া থাকেন তাহাদের ভূল ভাঙিবে এবং তাহা হইলে আমার শ্রম সার্থক হইয়াছে বলিয়া মনে করিব।
হযরত আদম আঃ হইতে হযরত নূহ আঃ পর্যন্ত প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোযা ফরয ছিল। ইহুদীদের প্রতি সপ্তাহে শনিবার, বৎসরে মূহররমের ১০ তারিখে এবং হযরত মূসা আঃ-এর তূর পাহাড়ে তাওরাত পাইবার পূর্বে দীর্ঘ ৪০ দিন একাদিক্রমে রোযা পলনরত অবস্থানের স্মৃতি স্মরণে ৪০ দিন রোযা পালনে নির্দেশ আছে। হযরত ঈসা আঃ ইঞ্জিন পাওয়ার পূর্বে দীর্ঘ ৪০ দিন রোযা পালন করিয়াছেলেন। হযরত দাউদ আঃ ১দিন পর পর রোযা রাখিতেন। (বুখারী ও মুসলিম)।
মুসলমানদের উপর রামাযান মাসের পূর্ন ১ মাস রোযা ফরয হয় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরতের ২য় সালে।