ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থে গো হত্যা ও প্রাণীর মাংস খাওয়া

0/5 No votes

Report this app

Description

সনাতন শাস্র সামবেদের একটি উদৃতি :
সামবেদে বলা হয়েছে – যার নামের প্রথম অক্ষর ‘ম’ এবং শেষ অক্ষর ‘দ’ হবে এবং গো মাংস খাওয়ার আদেশ দিবেন, সেই দেবতাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় দেবতা ।
“মদৌ বর্তিতা দেবা দকারান্তেপ্রকৃত্তিতা।
বৃষানাং বক্ষয়েত্‍ সদা মেদাশাস্ত্রেচস্মৃতা \\”
অর্থঃ “যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর”ম” ও শেষ অক্ষর “দ” এবং
যিনি বৃষমাংস (গরুর মাংস) ভক্ষণ সর্বকালের জন্য পুনঃ বৈধ করিবেন,
তিনিই হইবেন বেদানুযায়ী ঋষি।”
গরু নিয়ে কি না হচ্ছে ভারতে। কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে মোহাম্মদ আখলাক নামের ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে আর পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়।ধর্ষণ করা জচ্ছে মোসলমান মেয়েদের।ভারতের হিন্দু জনসমষ্টি গো মাংস খায় না। গো হত্যা ও গো মাংস খাওয়াকে তারা পাপ হিসেবে গণ্য করে। এ প্রসঙ্গে আমরা হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসনে গরুর অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে আসলেই কি গরু খাওয়া হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ ?
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,
“এই ভারতবর্ষেই এমন এক দিন ছিল যখন কোন ব্রাহ্মণ গরুর মাংস না খেলে ব্রাহ্মণই থাকতে পারতেন না। যখন কোন সন্ন্যাসী, রাজা, কিংবা বড় মানুষ বাড়ীতে আসতেন, তখন সবচেয়ে ভালো ষাঁড়টিকে কাটা হতো। (Collected works of Swami Vivekananda, Advaita Asharama,1963, Vol III, page 172)।
ঋগ্বেদের প্রাচীন ভাষ্যকার হিসেবে সায়না চার্যের নাম বিখ্যাত। তাঁর আগেও বিভিন্ন ভাষ্যকার, যেমন স্কন্দস্বামী, নারায়ণ, প্রমুখ ঋগ্বেদের ভাষ্য করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments