আল্লাহ তায়ালা এক নির্ধারিত সময়ের জন্য মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যখন সেই নির্ধারিত সময় তথা আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাবে, তখন তাকে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে। এটাই হচ্ছে মৃত্যু; যা থেকে কারো বাঁচার কোন উপায় নেই।
মৃত্যুর পরে মানুষকে মাটির নীচে সমাহিত করা হয়, যাতে লাশ প্রকাশিত হয়ে না পড়ে। যেখান থেকে কেবল শরয়ী কারণ ব্যতীত লাশ তোলা বৈধ নয়। এরই নাম ‘কবর’। এই কবরের জীবনকে বারযাখী জীবন বলা হয়। মানুষ মৃত্যুর পর থেকে ক্বিয়ামত বা পুনরুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবে। এই বারযাখী জীবন থেকেই বান্দা তার দুনিয়াবী জীবনের ভালো-মন্দ কর্মের ফল লাভ করতে
দুনিয়াতে মানুষ যদি ভালো কাজ করে থাকে, তাহলে তার কবরের জীবন হয় সুখময়। এখানে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সে সুখ নিদ্রায় শায়িত থাকবে। পক্ষান্তরে পৃথিবীতে মানুষের কর্ম যদি হয় মন্দ-নিকৃষ্টতর, তাহলে কবরেই সে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে শুরু করবে। ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার এই শাস্তি চলতে থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় থাকবে না। তাই কবর অতি ভয়াবহ স্থান।