অত্যন্ত জটিল প্রশ্ন। যে প্রশ্নটি মানুষের ওপর ছেড়ে দিলে কখনও ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। বরং আমরা দেখি যুগের সাথে সাথে সতর-লজ্জার সংজ্ঞা পাল্টাচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে মানুষ সতর এবং লজ্জা বলতে যা বুঝত, একবিংশ শতাব্দীতে এসে তা সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রী পাল্টে গেছে। নব্বই দশকের মুসলিমদের পোশাকের দৈর্ঘ্য, আর আজকের যুগের পোশাকের দৈন্যদশাই বলে দেয় মানুষের চিন্তাভাবনা এবং রুচিবোধ কতটা পরিবর্তনশীল।
নিজেকে ঢেকে রাখা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির অংশ, রুচির বিষয়। কিন্তু শরীয়ত মানুষের পরিবর্তনশীল রুচির ওপর সবকিছু ছেড়ে দেয়নি। একে ইবাদতের অংশ বানিয়েছে, সাওয়াব লাভের উপায় করে দিয়েছে, এবং নির্ধারণ করেছে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা নামক ইবলিশের তীর হতে রক্ষাকবচ হিসেবে। আর তাই ইসলামে পোশাক পর্দার গুরুত্ব অপরিসীম। এ ব্যাপারে ইসলাম পূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করে।