খাসায়েসুল কুবরা’ বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী মনীষা আল্লামা জালালুদ্দীন আবদুর রহমান সিয়ূতীর (রাহ্.) একটি বিস্ময়কর রচনা। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহোত্তম জীবনের আশ্চর্যজনক দিকগুলো সম্পর্কিত সহীহ্ বর্ণনার এক অপূর্ব সমাহার এই মহাগ্রন্থটি। হিজরী নবম শতাব্দীর পর সারা দুনিয়াতে সীরাতে নববীর (সা.) যতগুলো পরিপূর্ণ গ্রন্থ রচিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এমন গ্রন্থ খুব কমই পাওয়া যাবে যাতে ‘খাসায়েসুল কুবরা’ নামক গ্রন্থটির উদ্ধৃতি দেখা যায় না। ২য় খণ্ডে সমাপ্ত এই অসাধারণ গ্রন্থটি সম্পর্কে খোদ আল্লামা সিয়ূতী (রাহ্.) গ্রন্থের ভূমিকায় লেখেছেন,
“আমার শ্রমসাধ্য এই রচনাটি এমন উচ্চ মর্তবাসম্পন্ন একখানা কিতাব যার অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলেম ব্যক্তিমাত্রই সাক্ষ্য দিবেন। এটি এমন এক রহমতের মেঘখ- যার কল্যাণকর বারি সিঞ্চনে নিকটের এবং দূরের সবাই উপকৃত হবেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি অসাধারণ মূল্যবান রচনা। অন্যান্য সীরাত গ্রন্থের মোকাবেলায় এটি এমন এক কিতাব যাকে কোন স¤্রাটের মাথার মুকুটে সংস্থাপিত একখানা উজ্জ্বল হীরক খণ্ডে সাথেই তুলনা করা যেতে পারে। …. এটি এমন একটি সুগন্ধি ফুলের সাথেই শুধু তুল্য হতে পারে, যার সুগন্ধ কখনও বিনষ্ট হয় না। হৃদয়-মন আলোকোজ্জ্বলকারী এই অনন্য গ্রন্থটি পাঠ করে সবাই উপকৃত হবেন, আলোকিত হবেন এবং অসীম পুণ্যের অধিকারী হবেন। আমার এই গ্রন্থটি অন্যান্য সকল কিতাবের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে। মুমিনগণের অন্তরে এই কিতাব দৃঢ় প্রত্যয় সৃষ্টিতে সহায়ক হবে, ঈমান বৃদ্ধি করার মাধ্যম প্রতিপন্ন হবে। কেননা, বিশেষ সতর্কতার সাথে অত্যন্ত পুণ্যবান বুযুর্গগণের বর্র্ণনা চয়ন করে এই কিতাবে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে।”