পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ গল্প-কাহিনি বলতে ও শুনতে ভালবাসে। এর প্রধান কারণ হল, গল্প থেকে সহজে উপদেশ গ্রহণ ও বাস্তব জীবনে তা সহজে প্রয়োগ করা যায় । তাই প্রত্যেক জাতি, ধর্ম, সমাজ ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে নির্ভর করে নানা গল্প-কাহিনি সৃষ্টি হয়েছে। রোমান, পারসিক, হিন্দি ও আরবিসহ নানা সভ্যতার গল্পের সমৃদ্ধ বই রয়েছে। তেমনি ইসলামি সভ্যতার মাঝে রয়েছে গল্প-কাহিনির সম্ভার। এগুলো ব্যক্তি গঠনে, সমাজ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্র গঠনে এবং পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল কালের আবর্তনে ও বিভ্রান্তির বেড়াজালে সেই গল্প-কাহিনি আজ কোন দিক-দর্শন দেয় না, বরং অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। কুসংস্কারের পাহাড় তৈরি করে, সত্যকে আড়াল করে এবং প্রকৃত আকিদা-বিশ্বাসে ভ্রান্তির প্রলেপ দেয়। রেফারেন্সহীন অসংখ্য বানোয়াট কেস্সা-কাহিনি এখন ওয়াজ-মাহফিল ও জুমার খুৎবায় সরব রয়েছে।