সুন্নাত ও বিজ্ঞান

0/5 No votes

Report this app

Description

পৃথিবীতে মানুষের স্থায়ী আবাস নয়। সাময়িক নিবাস মাত্র। তাই স্রষ্টা পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণ করেই ক্ষান্ত হননি। তাদের জন্য নাযিল করেছেন নিদর্শনাবলি বা কিতাব। এই কিতাব মানুষকে পরিচালিত করে সঠিক গন্তব্যে তাকে জানিয়ে দেয় কল্যাণ-অকল্যাণ সম্পর্কে। অবহিত করে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষার কৌশল ও উপায়।

এরপরও মানুষ যেন বিপথগামী না হয় সেজন্য তিনি যুগে যুগে মানুষের মধ্যে থেকে মনোনীত করেছেন রাসূল তথা পথ প্রদর্শক। সকল নবী-রাসূলেল মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নবী হচ্ছেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তিনি এসেছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির

তিনি প্রতিটি মানুষের জানা আদর্শ। তার কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিকে আমরা বলি সুন্নাত। তাহলে রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় ঘটে যাওয়া প্রতিটি কাজই হচ্ছে সুন্নাতের অংশ। অর্থাৎ তিনি কীভাবে কথা বলতেন, আহার করতেন, পোশাক পরিধান করতেন, পবিত্রতা অর্জন করতেন, ইবাদত-বন্দেগী করতেন, ঘুমাতেন প্রভৃতি সকল কর্মকান্ড-ই সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত।

অপরদিকে বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান ও পরীক্ষিত সত্য। আর মানব কৌতূহল থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা তাই কালের দাবী পূরণে রাসূলে আকরাম সাঃ এর জীবন নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। এসব গবেষণা ও পর্যালোচনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর জীবনের প্রতিটি কাজের কল্যাণময়তা। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে রাসূল সাঃ এর জীবনে খুজেঁ পেয়েছেন শিকা। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রাত্যহিক জীবনে তাকে অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা আজ নিশ্চিত হয়েছেন যে কেউ যদি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর মতো জীবন পরিচালিত করে তবে তিনি কখনোই ক্যান্সার ফিস্টুলা, ইনফেকশন, ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হবেন না। তাই বলতেই হবে, সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য ব্যক্তি জীবনে সুন্নাতের অনুশীলন ও প্রতিপালন আজ বিজ্ঞানের দাবীতে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments