বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) -এর জীবন চরিত্র নিয়ে যুগে যুগেই আলোচনা করেছেন অনেক কবি, লেখক ও সাহিত্যিক । কেউ তারঁ চরিত্রের উপর, কেউ তার সামাজিক ব্যবস্থার উপর, কেউ আধ্যাত্মিক শক্তির উপর আর কেউ বা অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর গুরুত দিয়েছেন।
মানুষ হিসাবে মুহাম্মদ সাঃ, ধর্মপ্রচারক মুহাম্মদ, রাজনীতিক মুহাম্মদ , সমাজ সংস্কারক মুহাম্মদ, মিষ্টভাষী মুহাম্মদ, বিচারক মুহাম্মদ, শান্তির বাহক মুহাম্মদ, আল্লাহর দোস্ত মুহাম্মদ সাঃ – এর প্রভৃতি গুনাবলীর উপর অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি আলোচনা করেছেন।
তবুও একথা বলতে হয় যে তারঁ জীবনের কিছুই বলা হয় নি। এ ত্রুটি কোন মনীষীর নয় কোন পন্ডিতের নয়, কোন লেখকেরই নয়। কেননা মহাসাগরের অভ্যন্তর ভাগ হতে যদি সামান্য কয়েক বিন্দু জন নিয়ে মহাসাগরের স্বরূপ নির্ধারণ করবার প্রচেষ্টা করা যায় তাহলে যেমন মহাসাগরের গুনাগুণের কিছুই বর্ণনা করা হয় না।
তদ্রপ এ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ- এর জীবন চরিত্রের উপর যদি বিশ্বের পন্ডিতবর্গ একত্রিত হয়েও আলোচনায় রত হন তবুও তারঁ গুনাবলী বর্ণনা করে শেষ করতে পারবেন না। তারঁ জীবনের উপর আলোচনার বিষয়বস্তু অনেক রয়েছে এবং থাকবেও । বেশ কিছুদিন থেকে আমার মনে একটা কথাই বারবার দোলা দিচ্চিল যে পন্ডিত ব্যক্তিগন তারঁ জীবনের একটা বড় অংশ আলোচনা করেছেন না ।
অবশ্য এ অংশটা আলোচনা করার জন্য দরকার ধৈর্য, চিন্তাশক্তি ও অসাধারণ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান। যদিও এরূপ গুনসম্পন্ন ব্যক্তি অনেক আছেন তবু তারাাঁ এ বিষয়ে কিছু লিখেছেন না বলেই আমি নিতান্ত মূর্খ হয়েও আজ এ বিষয়টার উপর দু- একটা কথা লিখতে বসলাম।
বিষয়টা অত্যন্ত জটিল কেননা আমি লিখতে চাই বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (সাঃ) অর্থাৎ এ কথাই বিশ্বাসীকে জানাতে চাই যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিভিন্ন উপযুক্ত গুনেই শুধু বিভুষিত ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বড় বৈজ্ঞানিক।