হাদীসে এসেছে যে, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীয় নিকট উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি। [ইবন মাযাহ: হাদীস নং ১৯৭৭, তিরমিযী: হাসী নং ৩৮৯৫]।
স্বামী -স্ত্রী একে অন্যের অর্ধাঙ্গ। মানুষ তার অর্ধেক অঙ্গ নিয়ে পূর্ণ জীবনে সাধ পেতে পারে না, তেমনি একজন লোক একজন ভাল স্বামীও স্ত্রী ছাড়াও পূর্নাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। একে অপরকে যতটা বুঝতে পারবে তাদের জীবন ততটাই সুন্দর ও মধুময় হবে। একজন পুরুষের জীবনে যেমন অন্যতম আশা থাকে ভালো একজন স্ত্রী পাওয়া, তেমনিভাবে একজন মেয়েরও জীবনে সবচেয়ে বড় চাওয়া পাওয়া হলো ভালো একজন স্বামী ভাগ্যে জুটা।
একমাত্র একজন আদর্শ স্বামীই পারে তার স্ত্রীর জীবনকে পূর্ণ করে দিতে । স্বামীর বাড়ির লোকজন যতই খারাপ হোক, যতই নিষ্ঠুর হোক, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বুঝতে পারে, তাকে ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ করে দিতে পারে, তবে তাদের সংসার জীবন অনাবিল সুখে ভরপুর হয়ে যাবে। সেখানে পাওয়া যাবে জান্নাতের সন্ধান ।
এ জন্য একজন ভাল স্বামী পাওয়া ও কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র মানবজাতীর জন্য উত্তম আদর্শ। তিনি একদিকে যেমন একজন নবী- রাসূল, সেনাপতি, রাষ্ট্রপতি, অন্য দিকে তিনি তার স্ত্রীদের নিকট সবচেয়ে ভালোবাসায় পাত্র ছিলেন। একজন স্বামী হিসেবে আপনি রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যদি আপনার আদর্শ বানাতে পারেন তবে পৃথিবীর সব স্ত্রীরাই সুখী হবেন, আপনার সংসারটা কানায় কানায় ভরে যাবে ভালোবাসায়।