অপরাধীর অপরাধ পরিকল্পনা এবং তাদের দুরভিসন্ধি ফাঁস করে দেওয়া মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নির্ধারিত একটি পদ্ধতি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এমনিভাবে আমি নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করি, যাতে অপরাধীদের পথ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে’ (আন‘আম ৫৫)।
আমরা অত্র নিবন্ধে পাঠককে এমন একটি ভয়াবহ বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই, যা নবডঙ্কা নিয়ে বেজে উঠেছে, যার ধূম্রজালে ছেয়ে যাচ্ছে মুসলিম সমাজ এবং যার আগুনে জ্বলে উঠেছে ঈমানী গৃহসমূহ। আর তা হল, ইসলামী বিশেব শী‘আ মতবাদের ভয়াবহ বিস্তৃতি।
শী‘আ মতবাদের বিস্তৃতির ঘটনা বাস্তব, কোন কল্পনাপ্রসূত বিষয় নয়। জাপান থেকে শুরু করে ল্যাটিন আমেরিকা পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোন দেশ বা এলাকা নেই, যেখানে শী‘আ মতবাদের অপচ্ছায়া প্রবেশ করেনি।
এই কুফরী মতবাদ প্রসারের জন্য বিভিন্ন শী‘আ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে মুসলিম অঞ্চলসমূহে প্রবেশ করে ইসলামের রজ্জু, আক্বীদা, ইতিহাস ও প্রতীককে লাঞ্ছিত করছে। এমনকি তাদের ক্রমবর্ধমান গোপন তৎপরতা এমন সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে যখন ইসলামী সংস্থা ও সংগঠনসমূহ পাপিষ্ঠ খৃষ্টান চক্রের নানা বিপদ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
তাই তাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সামরিক দখলদারিত্বের আলোচনার চেয়ে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশেষ করে এই সংঘাতের যে বাস্তব ফলাফল আমরা লক্ষ্য করছি, তা মুসলিম উম্মাহর জন্য কোন কল্যাণকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করে না। যাই হোক প্রশ্ন আসে যে, শী‘আ মতবাদের বিস্তৃতি সম্পর্কে কেন এই হুঁশিয়ারী দেওয়া হচ্ছে?
এর জবাব হল, আমাদের ও তাদের মধ্যকার দলীল-প্রমাণাদি এতই পরস্পরবিরোধী এবং উভয়ের মধ্যকার মৌলিক বিষয়াদির দূরত্ব এতই বেশী যে, তা পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বের ন্যায়। এমতবস্থায় কিভাবে আমরা সেই সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারি, যারা আহলে বায়েতের (রাসূল (ছাঃ)-এর পরিবার) ইমামগণকে মা‘ছূম বা নিষ্পাপ দাবী করে এবং বিশবাস রাখে যে, তাঁরা গায়েব বা অদৃশ্যের খবর রাখেন! (দ্রঃ কুলায়নী, উছূলুল কাফী ১/১৬৫)। যারা একথাও বলে যে, কুরআনুল কারীমে পরিবর্তন-পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে এবং আমাদের কাছে সংরক্ষিত কুরআন মূলতঃ নবী (ছাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ কুরআন নয়; বরং তাতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও কমবেশী করা হয়েছে! (দ্রঃ উছূলুল কাফী ১/২৮৫)। কিভাবে আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের নিকটবর্তী হতে পারি, যারা ছাহাবীগণকে ফাসিক্ব বলে? শুধু তাই নয়, যারা উগ্রভাবে নিয়মিত তাঁদেরকে অভিশাপ দিয়ে এবং কাফির বলে নিজেদের জিহবাকে ধারালো করে ফেলেছে? (মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার ৬৯/১৩৭, ১৩৮ পৃঃ)।