শিশুদের আদর্শ নাম ও আকীকা

0/5 No votes

Report this app

Description

 একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা । এতে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাজের নির্ভুল দিক নির্দেশনা রয়েছে।একজন মুসলিম তার জীবনের সকল কাজ ইসলামের বিধি-বিধান মুতাবিক পরিচালিত করতে বাধ্য।খেয়াল খুশি বা ইসলাম বহির্ভূত কোন নিয়ম কানুন সে গ্রহন করতে পারে না। বর্তমানে মুসলিমদের মাঝে অজ্ঞতা ও বিজাতীয় রীতিনীতির অনুসরণ ও অনুকরনের প্রভাব ব্যাপক। অধিকাংশ মুসলিমই ইসলাম মানার ক্ষেত্রে কিছু সামাজিকতা ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে চরম উদাসীন।

বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন প্রত্যেক সন্তানই ইসলামের প্রকৃতির উপর ভুমিষ্ঠ হয়। অতঃপর মা-বাবা তাকে ইয়াহুদী বানায় কিংবা খৃষ্টান তৈরি করে অথবা অগ্নিপূজকে পরিণত করে।[মুসলিম ও বুখারী]তাই প্রতিটি মুসলিম শিশু জন্মের পর থেকে ইসলামী রীতিনীতিতে তাদের লালিত-পালিত করা অভিভাবকদের দায়িত্ব।

কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকই শিশুদের জন্মের পর আক্বীক্বাহ দেয়া ছাড়া অন্যান্য নিয়ম -কানুন মেনে চলে না। আবার অনেকে আকীকা দিতেও কার্পণ্য করে। শিশুদের ইসলামী বা অর্থবাহ নাম রাখা জরুরী হওয়া সত্ত্বেও বিজাতীয় নাম আঞ্চলিক নাম, অর্থহীন ও ত্রুটিযুক্ত নাম অহরহ রাখছে। এসব অভিভাবকরা ইসলামী সুন্দর সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও আলিম বা জ্ঞানীদের কাছ থেকে জানার ও চেষ্টা করে না। অথচ আল্লা-হ বলেন, ইসলাম ছাড়া অন্য কোন নিয়মনীতি গ্রহন করা হবে না অন্য কিছু গ্রহন করলে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [সুরাহ আ-লি ইমরান,৮৫]

আর রসূল সাঃ বলেন, যে অন্য জাতির অনুসরণ করল সে তাদের সাথে ক্বিয়ামাতের মাঠে উঠবে-[আবু-দাউদ]।তাই খেয়াল খায়েশ অনুসারে নয়, সকল কিছুই ইসলামী রীতিতে করতে হবে। ইসলমিী জীবন যাপন করতে হলে দ্বীনকে জানতে হবে। আর এ জন্যই প্রতিটি নর-নারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরয ।

মানুষ সাধারণত ধর্মীয় আলোচনা আগ্রহ প্রবল হওয়া সত্ত্বেও মানার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার কারণ কি? আমি মনে করি, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রচলিত শত শত আলোচনা শুনে বা বই পড়ে ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না। ইসলামী শব্দের অর্থ না জানার কারণে অনেইকই হতাশ হয় এবং উৎসাহ ও হারিয়ে ফেলে। তাই সাধারণ মানুষের প্রচলিত ইসলামী শব্দসমূহের অর্থ জানা জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments