মহাগ্রন্থ আল-কুরআন আমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পবিত্র বড় আমানত। কিছু মাফাসসীরগণের মতে, আকাশ,পৃথিবী ও পর্বতমালা এই পব্রিত মহাআমানত বহন করতে অপরগতা স্বীকার করে। বাবা আদম আঃ জান্নাতে থাকা অবস্থায় মহান আমানতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। আল্লাহ তাআলা আদম (আঃ) -এর সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বশেষ নবী ও রসূল মুহাম্মাদ সাঃ-এর প্রতি সর্বশেষ কিতাব রমজানের লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেন।
দীর্ঘ ২৩ বছরে পূর্ণ কুরআনের নাজিল সম্পন্ন হয়। কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন অপরিবর্তন ও অবিকৃত থাকবে; কারণ আল্লাহ তাআলা তারঁ কিতাবের হেফাজতের দায়িত্ব নিজেরই গ্রহণ করেছেন।
আল-কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকদের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে। আর যারা এ কিতাবকে ত্যাগ করবে তথঅ পাঠ করবে না, এর উপর আমল ও এ দ্বারা বিচার ফয়সালা এবং মেনে চলবে না তারা কিয়ামতের মাঠে কুরআন ত্যাগকারী বলে বিবেচিত হবে তখন তাদের বাচাঁর উপায়ে কি হবে? !! এই পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রটি চারটি কাজ জরুরি।
১ কুরআন মজীদের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত শিখে নিয়মিত পাঠ করা। ২ কুরআনুল কারীমের যে অর্থ ও তফসীর রসূলুল্লাহ সাঃ -তারঁ সাহাবাগণকে শিক্ষা দিয়েছিলেন তাদেরঁ পরে তাবেয়ী ও ইমামগণ তাই শিখে ছিলেন। আমারদেরকেও সেই সঠিক অর্থ ও তফসীর জানা। ৩। সঠিক অর্থ ও তফসীর জেনে প্রতিটি বিষয়ে তার প্রতি যথাযথ আমল করা। ৪। নিজেরা আমল করলেই চলবে না বরং অন্যদেরকেও কুরআন দাওয়াত ও তাবলীগ করা। বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিখার জন্য প্রতিটি ভাষায় কিছু পুস্তক প্রণয়ক করা হয়েছে।
প্রশংসা মাত্রই আল্লাহর জন্য। যিনি মানব জাতির মুক্তির দিশারী হিসাবে নাজিল করেছেন আল-কুরআন। দরুদ ও সালাম আমাদের প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ সঃ-েএর প্রতি যারঁ চরিত্র ছিল আল-কুরআন। তিনি সাঃ বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যদেরকে শিক্ষা দেয়। আরো বর্ষিত হোক শান্তির ধঅরা তারঁ পরিবার ও সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদেঁর সকল উত্তম অনুসারীদের প্রতি।