নবী করীম (সাঃ) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং তা দ্রুত একটি সংসংগঠিত রাষ্ট্র কাঠামোয় এমনকি একটি সভ্যতায় রূপান্তরিত হয়। এর ফলে সমগ্র পারস্য এবং বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের একটি বেশ বড় অংশ উক্ত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। যা অনিবার্যরূপে অনুসন্ধানী ঐতিহাসিকগণের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের দাবি রাখে।
যুক্তি প্রর্দশন করা হয়ে থাকে যে, ইসলামী রাষ্ট্রের এরূপ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির জন্য এর রাজনৈতিক, সামরিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণসমূহ বিশেষভাবে দায়ী । বিশ্নেষকদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্মীয় কারণের উপরও জোর দিয়েছেন। যদিও তাদেরঁ যুক্তি প্রদর্শণের পক্ষে যথেষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি।
এরূপ ধারণা পোষণ করা যে, ইসলামী রাষ্ট্রটি সত্যিকার ভাবেই প্রাক-ইসলামী আরবের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ক্রমোন্নতির একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। নবী করীম (সাঃ)-এর মক্কায় ইসলাম প্রচারের মধ্যে যে সকল অপরিহার্য় বিষয় ছিল তা কেবল মক্কাবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্যই নয়, বরং তাদের সামাজিক এবং শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও হুমকি স্বরূপ ছিল।