মানব দেহের অলৌকিক রহস্য

0/5 No votes

Report this app

Description

  

 কেন আমি শ্বাস নিচ্ছি বা আমি কি এখন শ্বাস নেব? আমার হৃদপিন্ড যে পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন করছে সেটা কি আমাদের যথেষ্ট? আমার দেহের কোন কোষটির বা কোন অঙ্গটির কী পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন? খাবার পর কখন পরিপাক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত হবে? যে পরিমাণ বা তীব্রতায় আলো আমাদের চোখে প্রবেশ করছে সেটি কি সঠিক মাত্রায় আছে।

হাত নাড়াবার জন্য কোন পেশীটিকে আমি সঙ্কৃচিত করবো? প্রশ্ন গুলো শুনতে খারাপ লাগছে, তাই না? কারণ আমরা কখনই আমাদেরকে এভাবে প্রশ্ন করি না। তারচেয়েও বড় কথা, আমরা এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে অবগত নই। অথচ কাজগুলো চলছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

এ জন্য স্নায়ুজালক একটি বড় ভূমিকা রাখে। এই স্নায়ুজালকটিকে তোমরা ছবিতে দেখতে পাচ্ছ। দেখতে সরল মনে হলেও এর গঠন বেশ জটিল এবং এটি ট্রিলিয়ন সংখ্যক কোষ নিয়ে গঠিত। স্নায়ূজালিকাটি দেহে এমনভাবে বিস্তৃত যে এমন কোন স্থান নেই যেখান এদের খুজেঁ পাওয়া যাবে না। এটি দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে একের সাথে অন্যের সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে।

যেমনটি আমাদের পায়ের পেশীকে সংযুক্ত করেছে মস্তিস্কের কোষের সাথে। রাস্তায় চলাচল করার সময় তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছ দুদিকে দুটি পথ রয়েছে। এর সাথে সাথে আরও রয়েছে ক্রস রোড ও লিংক রোড। তুমি কি কখনো নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করেছ? ।

আমাদের মস্তিস্কের জালটি এর চেয়েও বেশি সুসংঘবদ্ধ ও সাজানো। মোটর গাড়ির মত মস্তিস্কের সিগন্যালগুলো স্নায়ুজালকের রাস্তা ধরে সমগ্র দেহের নির্দিষ্ট অংশে চলে যায়। শুধু তাই নয়, এক স্থান হতে অন্যান্য স্থানে যাবার সময় এই সিগন্যালগুলো বিভিন্ন অনুভূতি চাপ, ঠান্ডা গরম ব্যথা বা তথ্য বহন করে নিয়ে যায়। এই সিগন্যালগুলো এত দ্রুত চলে যে তুমি ।

এর গতি সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারবে না। যখন তুমি তোমার হাতকে ভাজঁ করার চিন্তা কর তখনই এই আদেশটি মস্তিস্ক হতে উৎপন্ন হয়ে অনেক পথ অতিক্র করে মেরুরজ্জুতে Spinal cord আসে। এরপর এটি হাতে পৌছে। ফলে তুমি কনুই ভাজঁ করতে পারছ। এর সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটছে সেকেন্ডের হাজার ভাগের একভাগেরও কম সময়ের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments