ঋতুস্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধি-বিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন

0/5 No votes

Report this app

Description

ফজরের পরে কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত[1] হলে ঐ দিনে তার রোযা রাখার ক্ষেত্রে আলেমগণের দুটো অভিমত রয়েছেঃ

প্রথম অভিমতঃ ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানা-পিনা, যৌনসঙ্গম ইত্যাকার কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে তা ঐ দিনের রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে না; বরং তাকে পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে। এটা হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ অভিমত।

দ্বিতীয় অভিমতঃ ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে না। কেননা সে ঐ দিনের শুরুতে ঋতুবতী থাকার কারণে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। আর রোযা যেহেতু শুদ্ধ নয়, সেহেতু খানাপিনা থেকে বিরত থাকারও কোন অর্থ নেই। এই দিনটা তার জন্য সম্মানীয় কোন সময় নয়। কেননা ঐ দিনের শুরুতে তাকে রোযা ভাঙ্গার আদেশ করা হয়েছে; বরং ঐ দিনের শুরুতে রোযা রাখা তার জন্য হারাম। আর রোযার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “ফজর উদয় হওয়া থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে রোযা ভঙ্গকারী যাবতীয় বিষয় থেকে বিরত থাকার নাম রোযা।”

এই অভিমতটা আগের খানাপিনা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক মর্মের অভিমতের চেয়ে বেশী প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। যাহোক [ঐ দিনের বাকী অংশে সে খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাক বা না থাক] উভয় অভিমতের আলোকে বলা যায়, তাকে পরবর্তীতে ঐ দিনের ক্বাযা আদায় করতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments