কথাটি শুনলেই আঁৎকে উঠতে হয়। হ্যা, এটি নিছক কোনাে গল্প নয়, এ এক সত্যসন্ধানী সাধকের বাস্তব ঘটনা। এটি গুপ্তধন পাওয়ার আকুতির কাহিনি। এটি এক মুক্তিকামী মনীষীর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার অমর কিস্সা। পৃথিবীর ইতিহাসে সত্য ও সুন্দরের এতটা অনুরাগীর দেখা মেলা ভার। মহাসত্যের হাতছানি যে মানুষের সকল কষ্টকে কুসুম বানিয়ে দেয় তার বাস্তব নজির এই মহামনীষীর জীবন। ‘কষ্টে মিষ্ট মিলে কিংবা সবুরে মেওয়া ফলে প্রবাদ আবারও তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছে এই মহাসাধকের অবয়বে। মহান স্রষ্টা এ সত্যানুসন্ধানীর মনের আকুতি মঞ্জুর করেছেন। সুদীর্ঘ আড়াইশ বছর (কোনাে বর্ণনায় ২৯০ বছর) হায়াত পান তিনি। মহাসত্যের সন্ধানে পথেঘাটে, বন্দরে-করে, পল্লি থেকে পল্লিতে, দেশ হতে দেশান্তরে কাটান এই সুদীর্ঘকাল। এ সময়ে পৃথিবীর নানা ভূখণ্ডের আলাে বাতাস দেখেন তিনি। দেখেন নানা পরিবর্তন, নানান চড়াই উড়াই। নানান দেশের মানুষের। চালচলনের সাথেও হন পরিচিত। দেশ হতে দেশান্তরে পাড়ি দেন সত্যের হীরা মানিক আয়ত্ত করতে। অন্যায়ভাবে ক্রীতদাস হিসেবে দশজনের অধিক মালিকের হাত বদল হন। [বুখারি, হাদিস নং ৩৬৬১) অবশেষে বিশ্বজাহানের অধিপতি তাঁর প্রতি সদয় হন। তার ইচ্ছার তরি তীরে ভিড়ে। তার হাতে ধরা দেয় এক স্বপ্নীল চাঁদ। পেয়ে যান বহুল প্রত্যাশিত সােনালি পথ। বয়ােজ্যেষ্ঠ হওয়ার সুবাদে নানা সময় নানাজনের কাছে তাকে বলতে হয় আপন জীবনের গল্প। হৃদয় জাগানাে সেই সােনাঝরা গল্পের চুম্বকাংশ তাঁর নিজের মুখেই শােনা যাক