আর সালাত ও সালাম পেশ করছি সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ মান আমাদের এবং সব নবী-রাসূলের নেতা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি এবং তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের প্রতি। আর কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁর অনুসারী হবেন তাদের প্রতি। মরণের পরে কি হবে আমাদের, তা আমাদের কর্মফলই ঠিক করে দিবে।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, যদিও মৃত্যুর পর মানুষকে আমরা পঁচনশীল লাশ মনে করি, আসলে তারা লাশ নয় বরং জীবিতিই থাকে। তবে তাদের জীবন আমাদের এ পার্থিব জীবনের সম্পূর্ণ বিপরীত। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেনঃ “ মৃতের হাড় ভাঙ্গা জীবিতদের হাড় ভাঙ্গার মতই ” – মেশকাত, আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ ও মালেক।
মহানবী সাঃ কোন এক সময় আমর ইবনে হযম রাঃ কে একটি কবরের সাথে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় দেখে বললেনঃ “ এ কবরে সমাহিত ব্যক্তিকে কষ্ট দিওনা। “ – মেশকাত।
মৃত্যুর পর মানুষ এ পার্থিব জগৎ হতে পরজগতে চলে যায়। তাকে কবরে সমাহিত করা না হলে , বা চিতার আগুনে জ্বালান না হলেও তার স্থান হয় পরলোকে। সেখানে অবস্থানকালে তার চেতন উপলদ্ধিও বিদ্যমান থাকে।
মহানবী সাঃ বলেছেনঃ “ মানুষ যখন মৃত লাশ চৌখাটে রেখে কবরস্থানে নেয়ার জন্য তা কাঁধে বহর করে, তখন সে পুন্যবান হলে বলে, আমাকে তাড়াতাড়ি নিয়ে চল। আর যদি সে পুন্যবান না হয়, তাহলে স্বীয় পরিবার পরিজনকে বলে, হায়! আমার ধ্বংস, তোমরা আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? মানুষ ছাড়া প্রত্যেক প্রাণী তার একথা শুনতে পায়। আর মানুষ যদি তা শুনতে পেত, তবে সে অবশ্যই বেহুশ হয়ে পড়ত । “ – বুখারী।
মৃত্যুর পর থেকে কেয়ামত সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে যে সময়কাল অতিবাহিত হয়, এক বরযখ বা কবরের জীবন বলা হয়। বরযখ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো – পর্দা বা আড়াল। যেহেতু এ সময় কালটি দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যে একটি পর্দা বা আড়াল বিশেষ, এজন্যই একে বরযখ বলা হয়।