ভ্রান্ত তাবিজ কবচ

0/5 No votes

Report this app

Description

পূর্বেকার মোশরেকগণ আল্লাহকে এই পৃথিবীতে পরিপূর্ণ ক্ষমতা, পরিচালনা, পরিকল্পনা এবং সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করত। তারা এমন বিশ্বাস পোষণ করতনা যে, তাদের ভ্রান্ত উপাস্য বা দেবতাগুলো বিশ্ব জগতের কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ করে।

অথবা সেগুলো কোন প্রকার কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধনের ক্ষমতা রাখে, বরং তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ছিল যে, এসব কিছু একমাত্র আল্লাহই পরিচালনা করে থাকেন।

যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন: অর্থাৎ অতঃপর যখন তোমাদেরকে অকল্যাণ স্পর্শ করে তখন তোমরা তারঁ আল্লাহর নিকট বিনয় সহকারে প্রার্থনা কর (সূরা আন নাহাল ৫৩)। আল্লাহ পাক আরো এরশাদ করেনঃ অর্থাৎ তুমি যদি তাদেরকে (মোশরেকদেরকে) জিজ্ঞাসা কর, কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? তারা নিশ্চয়িই বলবে আল্লাহ ।

এবং এ জন্যই আল্লাহ তারঁ নবী সাঃ কে নির্দেশ করেছেন যে তিনি যেন মোশরিকদেরকে বাধ্যতামূলক ভাবে আল্লাহর বাণীর উত্তর দিতে বাধ্য করেন। অর্থাৎ বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ডাক তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছঅ করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারে?।

বলুন,আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট ভরসাকারীরা তারঁ উপরই ভরসা করে (সূরা আয যুমার ৩৮)। এবং প্রকৃত অর্থে রাসুল সাঃ যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন তখন তারা চুপকরে রইল, কেননা মূলতঃ তারা তাদের উপাস্যদের সম্পর্কে এ ধরনের বিশ্বাস পোষণ করতনা; কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকাল অনেক মুসলমানকে শয়তান পদঙ্খলিত করেছে আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুন।

যার ফলে তারা তাদের ভবিষ্যত বিষয়াদি এবং কার্যক্রমকে নির্ভরশীল করেছে হয়ত এক টুকরা কাপড়ের পট্টি বা সুতা অথবা একটি জুতার টুকরার উপর। এবং তারা মনে করে যে, এ গুলো মধ্যে মানুষের জন্য কল্যাণ বা অকল্যাণ রয়েছে। আফসোস কোথায় উপরোল্লেখিত আয়াতের বাস্তবতা তাদের জীবনে!।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments