বিশ্বনবী-(সা)র-রাজনৈতিক-জীবন

0/5 No votes

Report this app

Description

তুমি যাকে ইচ্ছা পরাক্রমশালী কর, আর যাকে ইচ্ছা হীন কর। কল্যাণ তোমার হাতেই । তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

তুমিই রাতকে দিনে এবং দিনকে রাতে পরিণত কর। তুমিই মৃত হতে জীবন্তের আবার জীবন্ত হতে মৃতের আবির্ভাব ঘটাও। তুমি যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপ-বরণ দান কর।আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তীর ফেরেশতারা ও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে বিশ্বাসিগণ তোমরা ও নবীর জন্য অনুগ্রত প্রার্থনা কর এং তাকেঁ উত্তমরূপে অভিবাদন

বিভিন্ন জাতিতে এবং বিভিন্ন ভাষায় নবী এবং রসুল সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে। তবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম এই সৃষ্টি নবী রসুল সম্পর্কে মুসলমানদের মধ্যে আগাগোড়া এই ধারণাই প্রচলিত যে, ইনি হচ্ছেন ইনসানে কামিল-পরিপূর্ণ মানুষ। আর এই পরিপূর্ণতা হচ্ছে শুধুমাত্র মানবীয় দিক সম্পর্কেই।

মানুষের জীবনে দুটি দিকই হচ্চে প্রধান

মানুষের জীবনে দুটি দিকই হচ্চে প্রধান। একটি মাআশ ইহজীবন এবং অন্যাটি মাআদ পরজীবন অন্য কথায় একটি হচ্ছে মানুষের সাথে মানুষের এবং অন্যান্য সৃষ্টির সম্বন্ধ সম্পর্কিত, আর অন্যটি হচ্ছে মানুষের সাথে তার সৃষ্টিকর্তা পরম পরাক্রমশালী প্রভুর সম্বন্ধ সম্পর্কে।

প্রথমটির সর্বোচ্ছ মর্যাদা হচ্ছে শাসনক্ষমতার অধিকারী হওয়া আর দ্বিতীয়টির সর্বোচ্চ মর্যাদা হচ্ছে আকায়িদ- বিশ্বাস ও ইবাতদ-বন্দেগী সম্পর্কে পথ প্রদর্শনের দায়িত্ব অর্থাৎ পয়গাম্বরী লাভ।রসুলে আরবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাঃ একাধারে ছিলেন উপরিউক্ত দুটি গুনেরই অধিকারী।

তারঁ জীবনের এই দুটি দিক সম্পর্কে আলোচনা একটি বিরাট ব্যাপার। এই পুস্তকে শুধুমাত্র তারঁ জীবনের একটি দিক অর্থাৎ রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।ব্যক্তিগত আকীদা-বিশ্বাসের কথা বাদ দিলে, একজন সত্যানন্বেষী শিক্ষর্থী ও একজন নিরপেক্ষ অথচ অবার্থ লক্ষ্য ঐতিহাসিকের পক্ষ থেকে এর যে উত্তর হবে তার রসুলে করীম সাঃ এর জীবন অধ্যয়নের প্রয়োজন কেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments