পাশ্চাত্য বস্তুবাদের সবচেয়ে গুরুতর দিক হচ্ছে তিনটি । (১) ডারউইনের (১৮০৯-১৮৮২ খৃ.) বিবর্তনবাদ। যা আল্লাহর অস্তিত্বকে যুক্তি দিয়ে অস্বীকার করে।
কার্লমার্কসের (১৮১৮-১৮৮৩) সাম্যবাদ। যা ন্যায়বিচার ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে। (৩) ফ্রয়েডের (১৮৬৫-১৯৩৯) মনস্তত্ত্ববাদ বা ভোগবাদ। যা ইসলামী নৈতিকতাকে অস্বীকার করে। এই তিনটির কোন একটিতে বিশ্বাস রেখে কেউ মুসলিম থাকতে পারবে না। উক্ত তিনটি মতবাদের ভিত্তি হল ডারউইনের বিবর্তনবাদ।
বিবর্তনবাদ সত্য হলে বাকী দুটি সত্য। আর ওটি মিথ্যা হলে বাকী দুটি মিথ্যা মার্কস ও ফ্রয়েড উভয়েই বিবর্তনবাদকে তাদের মতবাদের ভিত্তিহিসাবে গ্রহণ করেছেন। বিবর্তনবাদের মূল কথা হল, কোটি কোটি বছর পূর্বে আবদ্ধ পানিতে অতি সরল এককোষী জীবকণা সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে থেকে বহুকোষী জীব সৃষ্টি হতে কেটে গেছে কয়েক কোটি বছর।
অতঃপর তারা উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতে ভাগ হয়ে গেছে। এভাবে জেনেটিক কোষ বিশ্লেষনের মাধ্যমে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, পৃথিবীতেই সকল জীবের উদ্ভব ঘটেছে। অন্যত্র জন্ম নেওয়া আদম-হাওয়া তত্ত্ব সন্দেহাতীতভাবে ভূল । যা ইব্রাহীমী ধর্ম সমূহে বর্ণিত হয়েছে।