জানা আবশ্যক যে, দ্বীনে অনুপ্রবিষ্ট অভিনব কর্ম (বিদআত) সমূহ সম্পর্কে অবহিত হওয়া এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু ঐ বিদআত থেকে মুক্ত না হয়ে মুসলিমের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব হয় না।
এই মুক্তি লাভও ততক্ষণ সম্ভবপর নয় যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যেকটি বিদআত সম্বন্ধে পরিচিতি লাভ না হয়েছে যদি তার নিয়মাবলী ও মৌলিক সুত্র না জানা থাকে তা হলে। ইসলাম চিরন্তণ ও কালজয়ী দ্বীন। এই পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের আসল রূপ অবিকৃত ও অক্ষত রাখতে হলে তার প্রতি ভেজালের সকল অনুপ্রবেশ দ্বার বন্ধ করতে হবে।
যেহেতু দ্বীন পরিপূর্ণ এক গ্লাস দুগ্ধের ন্যায়, যাতে এক বিন্দুও অন্য কিছু রাখার , সংযোজন ও পরিবর্ধন করার কোন অবকাশ নেই। ওর-এর কথা ও অভিমতের পারি বা গোত্রমূত্রকে তাতে স্থান দিতে গেলে অবশ্যই বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল কিছু দুধ গ্লাস হতে উপচে পড়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে ঐদুগ্ধ পানের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই দ্বীনে যাতে ভেজাল প্রবেশ না করে ।
কুরআন ও হাদিসে যে কথা থাকে না তাকে বানিয়ে নেওয়া বেদআত শিরকী ।
তার জন্য আল্লাহর রসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে অতি গুরুত্বের সহিত তাকিদ করে গেছেন। তারঁ সাহাবা, তাবেয়ীন এবং সলফগণও ঐ ভেজাল মিশ্রণ থেকে মুসলিমদেরকে উচিত সতর্ক করে গেছেন। তাঁদের পর সেই ফরযই ওলামাগণের উপর বর্তায়। ভেজালের প্রত্যেক ছিদ্র পথ বন্ধ করা।
অনুপ্রবিষ্ট ভেজাল চিহিৃত করে তা উৎখাত করা এবং ঐ নির্ভেজাল দুগ্ধকে কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয় করা হতে চোরা ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিহত করা তাদেঁর এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মহান কর্তব্য । এই কর্তব্যভার অনুভব করে, সমাজের মানুষকে সবধান করার লক্ষ্যে অধমের সাধ্যমত কি কিঞ্চিৎ প্রয়াস।
এর দ্বারা সমাজে কিু পরিমাণও জাগরণে এলে এবং সঠিক পথ সুষ্পষ্ট হলে শ্রম সার্থক হবে। এতে যা কিছু প্রমাণ করতে চেয়েছি তা সঠিক হলে আল্লাহর তরফ হতে এবং ভুল হলে আমার ও শয়তানের তরফ হতে। প্রমাণ সহ ক্রুটি চিহিৃত করে জ্ঞানীরা আমার সঠিক দিগদর্শন করলে কৃতজ্ঞ হব।