চিব্বশ পরগণা জিলার চাদঁপুর গ্রাম। গোবরডাঙ্গা স্টেশন থেকে বারো-চৌদ্দ ত্রোশ দূরে। কয়েক মাইন উত্তরে ইতিহাসখ্যাত নারিকেল বাড়িয়া। আর মাত্র দুই ত্রোশ দূরে ইছামতী নদী। এরই মাঝখানের একটি গ্রাম চাদঁপুর। গ্রামটি খুব শান্তি চারদিকে কেবল গাছ-পালা। ফসলের ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। গাছে গাছে পাখির কলরব। ইছামতী নদীর কুলুকুলু স্রোতের ডাক।
খুব ভোরে ফজরের সুমধুর আযানের ধ্বনিতে ঘুম থেকে জেগে ওঠে চাদঁপুর গ্রামের মানুষ। তারপর মেঠোপথ ধরে ছুটে চলে ক্ষেত্রের দিকে। এই সবুজ-শ্যামল চাদপুর গ্রামের একটি বিখ্যাত পরিবার। বহুকাল থেকে সেগৌরবে দাড়িঁয়ে আছে মাথা উচুঁ করে। নাম সাইয়েদ এবং মীর পরিবার।
সাইয়েদ এবং মীর পরিবারের রহস্যটা একটু পরে জানা যাবে। তার আগে জানা যাক নিসার আলীর জন্মের কথাটা। সতেরো শো বিরাশি সাল। দিনটির কথা একন আর কেউ মনে করতে পারে না। তা না পারুক। আকাশে সূর্য উঠলে তো সবাই জেনে যায়। তখন চারদিকে কেমন সোনালী আলো। চারদিকে তখন কেবল রোদ্দুরের ঝলকানি। ঠিক তেমনি। তেমনি অবস্থা হয়েছিল সেদিন। সতেরো শো বিরাশি সালের সেই ঐতিহাসিক দিনটিতে।
তারঁ জন্মের মুহুর্তে। ভূমিষ্ঠ হলেন তিনি। তিনি মানে সাইয়েদ নিসার আলী। বাংলার ইতিহাসের এক আলোকিত পুরুষ। তিনি ভূমিষ্ট হলেন এই দিকে। চাদঁপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল সতেরো শো সাতান্ন সালে। ২৩ শে জুন। আর নিসার আলী জন্মগ্রহণ করলেন সতেশো শো বিরাশি সালে। অর্থাৎ পলাশী যুদ্ধের পঁচিশ বছর পর।