সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী শৈমব কালে তার পিতা নাজমুদ্দিন আইয়ুবীর কাছ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসের অবমাননা ও সেখানকার মুসলমানদের ওপর জঘন্য বর্বরতার কাহিনী শুনেছিলাম। তার পিতা এ কাহিনী শুনেছিলেন তার দাদা শাদী আইয়ুবীর কাছ থেকে। শৈশবের শোনা সেই নির্মতার কাহিনী তার ছোট্ট হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বয়স বাড়লেও সেই কাহিনীর কথা তিনি কোনদিনে ও ভুলতে পারেননি।
বরং সুলতান আইযুবী অনুভব করছিলেন, যতই তার বয়স বাড়ছে ততোই তার রক্তে, তার শিরায় শিরায় সেই বর্বরতার তিক্ত স্মৃতি প্রচন্ড আলোড়ন ও ঝড় তুলছে। শৈশবে যখন তিনি এ কাহিনী শুনেছিলেন তখনই তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
বায়তুল মোকাদ্দাস তিনি একদিন মুক্ত করবেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই শপথ তার দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে।আজ বায়তুল মোকদ্দাস মুক্ত করতে এসে তারঁ মনে পড়ে গেলে, তিনিও তারঁ দুই সন্তানকে শৈশবেই এ কাহিনী শুনিয়েছেন। তাদের একজন এখানো কিশোর থাকলেও অন্যজন এরই মধ্যে যৌবনের সিংহদরোজা খুলে ঝাপিঁয়ে পড়েছে জেহাদের ময়দানে।
কিশোর আল মালেক আল জাহেরের অন্তরেও নিশ্চয়ই এমনি প্রতিজ্ঞা দানা বেধেঁ উঠতে শুরু করছে। আর যুবক আল আফজাল তো এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই যোগ দিয়েছে সেনাদলে। তিনি ভাছিলেন, আজ যদি আমি সফল হতে না পারি তবে কি এ স্বপ্ন মুছে যাবে? না,