ইসলামের ইতিহাসে এক বেদনা-বিক্ষুব্ধ অধ্যায়ের নাম ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রাম। অসংখ্য নবীর স্মৃতিধন্য ও মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস-এর পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন আজ ইহুদীদের কবজায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে পরাশক্তিগুলো প্রত্যক্ষ মদকে সেখানে ইহুদীরা জবরদখল করে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ।
প্রতি মূহুর্তে মুসলমানদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলোর যেখানে ঘনিষ্ঠ অবস্থান তারই এক কৌশলগত স্থানে ইহুদীদের এ রাষ্ট্র সংস্থাপিত। সাধারণভাবে সবাই জানে যে, মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদ কুক্ষিগত করা ও বিভিন্ন স্বার্থ অক্ষণ রাখার প্রয়োজনেই এই সন্ত্রাসী রাষ্টকে লালন করা হচ্ছে।
কিন্তু কিভাবে এর ভিত্তি রচিত হয়, কারা এ মদদ যোগায়-ইতিহাসের সেইসব খলনায়ক তখন পর্দার আড়ালে কি সব ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছিল আরবদের ভূমিকাই বা কি ছিল, সেইসব অনেক অজানা তথ্যের প্রামাণিক বিশ্লেষণ স্থান পেয়েছে মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকল রচিত আল মুফাওয়াফাতুম সিররিয়্যাহ বাইনাল আরব ওয়া ইসরাইল গ্রন্থটিতে লেখক মুহাম্মদ হাসনাইন হাইকাল।
এইসব ঘটনার এক বিরাট অংশের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আরব জাতীয়বাদের গ্রহনায়ক মিসরের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুন নাসের-এর কেবিনেট তথ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন ছাড়া ও তিনি মিসরের প্রধান দৈনিক বিখ্যাত আল-আহরামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
ইউরোপ-আমেরিকার বহু ক্ষমতারধর ব্যক্তির সাথে তারঁ ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে তিনি অনেক অজানা তথ্যের প্রামাণ্য দলিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। সেসব ডকুমেন্টের ভিত্তিতে তিনি এই গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তিনি গ্রন্থটিতে সময়ানুক্রমিক ধারায় ইহুদীদের ষড়যন্ত্র ও আরবদের ভূমিকার বিশ্লেষণ করেন। আরবদেশগুলোর নেতৃত্ব যখন দিকভ্রান্ত, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী থাবা তখন ভয়ঙ্করভাবে বিস্তারিত; মার্কিন প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা ইহুদীদের কূটকৌশল তখন ইসরাইলীদের সহযাত্রী।