ফিদায়ী অভিযানের বিষয়ে ইসলামের বিধান

0/5 No votes

Report this app

Description

 

“ফিদায়ী আক্রমণের বা আন্মোৎসর্গমূলক অপারেশন বলতে এমন অপারেশন বুঝায় যেখানে এক বা একাধিক ব্যক্তি ভাদের থেকে অন্ত্রশস্ত্রে এবং সংখ্যাধিক্যে প্রবল শক্রুর বিরূদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করে; যদিও ভারা জানে যে এতে নিশ্চিতভাবে ভাদের মৃত্যু ঘটবে ।

সম্প্রতি এমন ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে যে, ব্যক্তির দেহ, যানবাহন বা স্যুটকেস বিস্ফোরক দ্বারা সজ্জিত করে শত্রুর ঘাটিতে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় প্রবেশ পূর্বক হঠাৎ হামলা চালিয়ে শক্র ব্যুহের সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে যথাযথ স্থানে বিক্ফোরিভ করা হয় । সাধারণতঃ যিনি এই ঘটনাটি ঘটান তিনিই এতে সর্বপ্রথম মৃত্যুবরণ করেন ।

আরেকটি কৌশল হল, কোন আর্মড মুজাহিদ যখন বাচার কোন প্রস্তুতি না নিয়ে কিংবা বাঁচার সম্ভাবনা উপেক্ষা করে শত্রুর ব্যারাকে অথবা মিলনস্থলে অতর্কিতে ঢুকে অনবরত গুলিবর্ষণ করে, উদ্দেশ্য থাকে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব শত্রু নিধন করা, যখন তিনিও প্রায় নিশ্চিত যে, এতে তিনিও মারা যাবেন ।৮

“আত্মঘাতী বোমা হামলা” বলে যে লেবেল সেঁটে দেয়া হয় তা ভ্রান্ত ও সঠিক নয় । মূলতঃ এই গালি টি আমাদের ভাইবোনদের এই কা হতে অনুৎসাহিত করার জন্য ইনুদীদের চক্রান্তের ফসল । পূর্ব এবং পশ্চিমের মাঝে কত বড় ব্যবধান! অসুখী মানসিকতা, ধৈর্যের অভাব এবং ঈমানের দুর্বলতার কারণে যে আত্মহত্যা করে, সে তো জাহান্নামের আগুনে ভ্বলবে এবং সে আল্লাহর লা*নত অর্জন করেছে । অন্যদিকে শাহাদাত বরণকারী ব্যন্তি ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে পূর্ণ আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সাথে নিজেকে আল্মাহর রাহে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে ইসলামের বিজয় আনয়ন করে এবং আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ করে ।…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments