প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একখানি জীবনী গ্রন্থ এক নিমেষে বা একদিনে বা একমাসে বা এক বছরে বা সারা জীবনে এক আধবার বা বারবার বা বহুবার পাঠ করলেই প্রিয়নবীর জীবনী পাঠ ও তারঁ প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন বা হক আদায় সম্পূর্ণ হয়ে যায় না।
তারঁ জীবনী অধ্যয়ন, তা গভীরভাবে অনুধাবন, গভীর অন্তরে তার লালন-পালন, চিন্তন,মনন ও কথনের দ্বারা প্রচারকরণ, ইসলাম-বিরোদীদের ঘৃণ্য-অপপ্রচারের অপনোদন, নীতি ও আদর্শবাদের ক্ষেত্রে তারঁ দেখানো পথ অনুধাবন-এসবই হল তারঁ জীবনী পাঠের সাথে সাথে তারঁ প্রতি যথার্থ হক পালন।
তা ইহ -পরকালীন জীবনে কোনো সুফল বয়ে আনবে না । এখন দেখা যাক, প্রিয়নবীর শিক্ষা, নীতি ও আর্দশানুসারে অমুসলমান কে বা মুসলমানই বা কে অথবা অমুসলমান ও মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য কী? এ প্রশ্নের জবাব খুব স্পষ্টভাবে এবং নিখুতঁভাবে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে এ গ্রন্থের পাঠক বা বিশ্বমুহম্মদীয় পরিবারের সদস্যরা ইসলামের মর্মবাণীকে সার্থকভাবে অনুধাবন করতে পারেন।
মনে রাখতে হবে যে, একজন মুসলমান ও মানুষ, একজন অমুসলমানও মানুষ। তাদের পরস্পরের আকার-আকৃতি পোষাক-পরিচ্ছদ ভাষা খাদ্যভ্যাস ইত্যাদির মধ্যে বাহ্যিক কোনো পার্থক্য নেই। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে, কে অমুসলমান আর কে মুসলমান? এক কথায়,এর সহজ উত্তর হল এ পার্থক্য বিশ্বসগত।
তারপরে আসে সামাজিক আচার-বিচার, শিক্ষা-সংস্কৃতি,ধ্যানধারণা,ধর্মীয় আচরণ ও অন্যান্য বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ ধ্যান-ধারণা বিষয় ও প্রসঙ্গ। অর্থাৎ একজন মুসলমান যা বিশ্বাস করে সেই বিশ্বাসের কারণেই সে মুসলমান।