প্রশান্তির বাণী

0/5 No votes

Report this app

Description

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এরশাদ করেনঃ সে (মানুষ) বিপদগ্রস্থ হলে হা -হুতাশ করতে থাকে। অর্থাৎ, যখন মানুষ ব্যর্থ হয় কিংবা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তারা খুব তাড়াতাড়ি অধৈর্য হয়ে পড়ে আর হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি আল্লাহর নির্দেশ না মেনে পাপ কাজে লিপ্ত হয় বা অযংযত আচরন করে। এখানে জুজুয়া শব্দটি সবর এর বিপরীত ।

মুলতঃ এটি দ্বারা মানুষের মনের অসহনশীল প্রকৃতিকেই তুলে ধরা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক আমরা কোন পরীক্ষায় খারাপ করলাম কিংবা ব্যবসায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হলাম।

এরপর সচারাচর আমরা যা করি তা হলো প্রথমেই মন খারাপ করে বসে বসে ভাবি আমি হয়তো শেষ। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে পরিত্যাগ করেছেন, তিনি আর আমার দুঃখ-দুর্দশা বা প্রয়োজনের দিকে খেয়াল করেন না।.. এমনকি মানুষকে এটাও বলতে শোনা যায়, আমি যতই আল্লাহর আনুগত্য করি না কেন, জীবনে স্বস্তি তো আসেই না বরং তা আরও কঠিন থেকে কঠিনরত হয়।

এসব আল্লাহর ইবাদত করে আমার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। হতাশা কাটনোর জন্য তারা বিভিন্ন নিষিদ্ধ কার্যকলাপে আসক্ত হয়ে পড়ে, যেমন -মদ, ড্রাগ, অবৈধ মেলামেশা ইত্যাদি। মজার বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের এই স্বভাবগত অসহনশীল প্রবণতা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত আছেন। তাই এই আয়াতে আমাদের কে কোনো দোষারোপ করছেন না ।

বরং তিনি জানেনই যে মানুষ আসলেই মানসিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল এবং তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল; কঠিন পরিস্থিতিতে তারা ধৈর্য হারাবে এবং নিজেকে আত্মসংবরণ করতে না পেরে ভুল পথে পা বাড়াবে, পাপাচারে লিপ্ত হবে; তারা আসলেই অস্থির বা জুজুয়া ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন; আবার যখন (সে)ত ঐশ্বর্যশালী হয় তখন কৃপন হয়ে যায়। তার মানে, আল্লাহ তাআলা মানুষের উপর কোন রহমত দান করেন তখন তারা এতটাই কৃপণ আর ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে যে, সবকিছু একাই গ্রাস করতে চায়। এই ধরনের ঘটনা আমাদের কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments