পরিবার ও পারিবারিক জীবন

0/5 No votes

Report this app

Description

১৯৬২ সনের কথা। ঢাকাস্থ অধুনালুপ্ত ‘মজলিসে তামীরে মিল্লাত’ আয়োজিত ইসলামী সেমিনারে ‘ইসলামের পারিবারিক ব্যবস্থা’ পর্যায়ে ভাষণ দেয়ার জন্য আমাকে আহবান জানানো হয়। বক্তৃতা দিতে রাজি হয়ে আলোচ্য বিষয়ের তথ্য সংগ্রহের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। অবশ্য পরবর্তীকালে বিশেষ কারণে সেমিনার অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ও ভাষণ দেয়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করি। কিন্তু প্রস্তাবিত আলোচনাটি আমার দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূত হওয়ায় এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা, চিন্তা-গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের কাজ অতঃপর অব্যাহত ও অবিশ্রান্তভাবে চলতে থাকে। মাঝখানে ১৯৬৪ সনের প্রায় সবকটি মাস কারাবরণ ও কারামুক্তির নিষ্কর্মতায় অতিবাহিত হয়ে যায়। অতঃপর এ পর্যায়ে সংগৃহীত বিশাল তথ্যাদি গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করতে শুরু করি এবং ১৯৬৭ সনের শেষ নাগাদ এ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণরূপে তৈরী হয়ে যায়।

গ্রন্থখানি তৈরী হয়ে যাওয়ার পর এর প্রকাশণার জন্যে ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ইতিপূর্বে এর কোন ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। বর্তমানে গ্রন্থখানি ঢাকাস্থ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত হতে পাছে, এজন্যে আল্লাহ তা’আলার লাখো শুকরিয়া আদায় করছি।

এ গ্রন্থে পারিবারিক জীবন, তার সুষ্ঠুতা, সুস্থতা, শান্তি ও শৃঙ্খলা এবং পবিত্রতা ও মাধুর্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হয়েছে। পারিবারিক জীবনের ভাঙন ও বিপর্যয়ের দিকগুলো বিস্তারিতভাবে প্রতিভাত করে তোলা হয়েছে এবং সর্বশেষে বর্তমান বিপর্যস্ত পারিবারিক জীবন পুনর্গঠন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উপায় ও ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়েছে। যেখানে যা কিছু বলেছি, তা আমার নিজের মত বলে যাহির করিনি বরং সংশ্লিষ্ট অকাট্য যুক্তি ও দলীল-প্রমাণে যা কিছু প্রতিভাত হয়েছে, তা-ই আমি যুক্তির ফয়সালা বলে মেনে নিয়েছি এবং তা-ই পরিবার ও পারিবারিক জীবনের জন্যে কল্যাণ মনে করেছি। এ ক্ষেত্রে যদি কেউ বিপরীত মত পোষণ করেন, তাহলে বলতে হবে, সে বৈপরীত্য আমার মতের সঙ্গে নয়, তা একান্তই যুক্তি-প্রমাণ ও অকাট্য দলীলের সাথে। তাই আমার উপস্থাপিত যুক্তি ও দলীল-প্রমাণের কোনরূপ দুর্বলতা কিংবা অসামঞ্জস্যতা কেউ দেখাতে চাইলে তা সাদরে গৃহীত এবং যথাযোগ্য গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হবে।

এ গ্রন্থ পাঠে কোনো উপকার হলে এবং এর আলোকে পারিবারিক জীবনে পুনর্গঠন প্রচেষ্টা চালানোর ফলে কোনো কল্যাণ সাধিত হলে আমার শ্রম সার্থক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments