মানুষ নামের দুপেয়া হায়েনা ও নেকড়ের আঘাতে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন, ক্ষতবিক্ষত, রক্তত্ব এক শরীরের নাম মুসলিম উম্মাহ। বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত এক মানবগোষ্ঠীর নাম মুসলিম উম্মাহ । ক্ষুধার্ত, দুর্বল, সহায়-সম্বলহীন, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদকৃত এক জনগোষ্ঠীর নাম আজ মুসলিম উম্মাহ।
একবিংশ শতাব্দিতে দাড়িয়ে আমাকে অতি কষ্টের সাথে সেই জাতির উত্তরসুরীদের নির্মম চিত্র তুলে ধরতে হচ্ছে যাদের পূর্বসুরীগণ অতিঅল্প অময়ে খুব সামান্য রণসামগ্রী নিয়ে তখনকার দুই সুপার পাওয়ার কায়সার -কেসরার গর্ব -অহংকার ধুলিস্মাৎ করে দিয়েছিলেন।
রোম -পারস্যের রাজপ্রাসাদে কালিমা খচিত পতাকা উড়িয়েছিলেন। খুব সামান্য সময়ের ব্যবধানে যারা অর্ধপৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ভুমিতে আদল ও ইনসাফের চাষাবাদ করেছিলেন। যে ভুমিতে অমুসলিমরাও শতভাগ নিরাপত্তার সাথে সববাস করত। যেখানে ছিল না কোনো জুলুম, অন্যায়, অনাচার। ছিল না কোনো হাহাকার ও আর্তচিৎকার।
ছিল শুধু শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নতি, অগ্রগতি ও নিরাপত্তা। আর ছিল শুধু প্রাপ্তি ও তৃপ্তি। কিন্তু হায়! মুসলিম উম্মাহর এই চিত্র আজ অতীত স্মৃতিকথা। এসবই রূপকথার গল্পের রূপ ধারণ করেছে। নির্মম বাস্তবতা তো ওটাই যার চিত্র আমরা অংকন করেছি। আজ মুসলমান জাতিই পৃথিবীর সবচাইতে নিপীড়িত ও নির্যাতিত এক জাতি।
সমস্ত অমুসলিম জাতি আজ মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে দেয়ার পায়তাড়া করছে। কিন্তু মুসলিমদের এ নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। নেই কোনো অনুভব -অনুভুতি। তারা শত শত দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেরদের মধ্যে কাদাঁ ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত।
প্রত্যেক দলই নিজেকে হক্কানী দাবি করে অন্যদেরকে না হক বলে প্রত্যাখ্যন করছে। কেউ তাওহীদের ভিত্তিতে একতাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছে না। এহেন পরিস্থিতিতে এমন কিছু মৌলিক নীতিমালার আলোচনা অত্যাবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছেঁ ।