শত্রু মিত্র pdf বই ডাউনলোড। কিন্তু!! যদি ব্যক্তি কারো প্রভাবে প্রভাবিত হয় তাহলে তার জন্য ফাতওয়ার জিম্মাদারী গ্রহণ খুবই বিপজ্জনক। বলা যায়, ফাতওয়া প্রদান হচ্ছে পুলসিরাত। শত্রুতাভাবাপন্ন ও হঠকারী হওয়া তাকে নিয়ে যেখানে ঝাঁপ দেয় সেখানে তাকে অপাত্রের ভুক্তির কারণে তা তার জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠে।
মুফতীর কলম তখন ভক্তি শ্রদ্ধার গীতিকার হয়ে যায় বা জল্লাদের তলোয়ার হয়ে যায়। তাকে মুফতীর কলম বলাকে বোকামীসুলভ অপরাধই বলা যেতে পারে । দারুল উলূম দেওবন্দ তার মানহাজের বিচারে এ ক্ষেত্রে কী করবে? ।
যে একজন নাস্তিককে এক লক্ষ লক্ষ শ্রোতাকে কুরআনের সত্যতার বিষয়ে সন্দেহের বীজ বপন করার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাকে উরুল উলূম দেওবন্দ মিত্র হিসাবে কাছে টেনে নেবে না তাকে শত্রু হিসাবে দূরে ঠেলে দেবে? দারুল উলূম দেওবন্দকে আমরা যতটুকু জেনেছি, তার শত্রু-মিত্রু চেনার মত যোগ্যতা আচে। যে একটি জাতির ঈমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাকে দারুল উলূম মিত্র হিসাবে গ্রহণ করবে এতটা দেউলিয়া হয়ে যায়নি।
হোক তার শিরনাম ছোট বা বড়। কর্মপন্থা ও উদ্দেশ্যের বিবেচেনায় শত্রু-মিত্র নির্নয় করার মত যোগ্যতা দারুল উলূম দেওবন্দের রয়েছে। কিন্তু এসব সত্য সত্য হয়ে কী হবে? মায়াকান্নাতো আর সত্যের জন্যও নয়, বড়র জন্যও নয়। মায়াকান্নাতো নিজের মতলবের জন্য। মতলবের বিপরীত হওয়ার কারণে এ জীবনে আমরা কত সত্য আর কত বড় বড়কে বাম হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে ফেলে দিয়েছি তার কোন হিসাব নেই।
নিজের মতলবের সমর্থক হিসাবে সলফের যে অঙ্গকে খুজেঁ পেয়েছি সে অঙ্গকে বড় থেকে আরো বড় বানিয়ে বাকি সব অঙ্গকে ছোট থেকে ছোট বানানোর সকল ব্যবস্থা করেছি। আর এ বিষয়ে আমাদের প্রতিভার কোন তূলনা হয় না। আমরা ছোটদের ছোট মনে আঘাত করেছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে চলার জন্য তাদের যে সাহস ও হিম্মতের যোগন দেয়অর প্রয়োজন ছিল সে যোগান না দিয়ে সে হিম্মতের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছি।
তাদের জীবনের বৈপরীত্যগুলো থেকে তাদেরকে উদ্ধার করার কোন ব্যবস্থা করার পরিবর্তে তাদেরকে আরো বৈপরীত্যের অনুশীলন করার জন্য তালকীন করেছি। আর যে ভাষা জাসসাস, কাযী ইয়ায, ইবনুল জাওযী, খতীব বাদদাদী, ইবনে খালদূন, ইবনে তাইমিয়া, যাহাবী, ইবনে কাসীর, ইবনে হাজার, আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী ও মানাযের আহসান গীলানী রাহিমাহুল্লাহ বুঝতে পারেননি সে ভাষা বোঝা আমাদের জন্য কতটুকু জরুরী?