সৃষ্টি করে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উদ্দেশ্য বিহীন পথে ছেড়ে দেননি, তাদের সুনির্দিষ্ট একটি পথে চলার জন্য অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাদেঁর দায়িত্বই ছিলো মানব গোষ্ঠীকে আল্লাহ তাআলার দাসত্বের প্রতি আহবান জানানো ।
এবং আল্লাহর দেয়া পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলামী আদর্শে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন। যেহেতু ইসলাম গতানুগতিক কোনো ধর্মের নাম নয়, এতে রয়েছে জীবন পরিচালনার সকল নীতিমালা।
যতদিন মুসলিম উম্মাহ পবিত্র কোরআন উপস্থাপিত নীতিমালাসমূহকে একমাত্র আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করছে ততদিন পর্যন্ত তারাঁই ছিলো বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে আসীন এবং নন্দিত জাতি। যতদিন ইসলাম প্রদর্শিত পথে তারাঁ ব্যক্তি থেকে শুরু করে পারিবারিক নীতি সমাজনীতি রাজনীতি অর্থনীতি,নারীনীতি,শ্রমনীতি, সভ্যতা-সাংস্কৃতিক নীতিমালাসমূহ পরিচালনা করেছে।
ততদিন তাদের মধ্যে ছিলো না হিংসা বিদ্বেষ বিভেদ স্বার্থপরতা,স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ইত্যাদি। বরং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা,মায়া-মমতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে রচনা করতে সক্ষম হয়েছিলো মানবেতিহাসের সর্বশ্রে।
সম্মান মর্যাদার সুউচ্ছ সোপান থেকে নন্দিত এ জাতির পতন ঘটলো তখনই কোরআন প্রদর্শিত সহজ সরল পথ বর্জন করে তারাঁ যখন মানব রচিতা বাঁকা পথ অবলম্বন করে নিন্দিত পথের যাত্রী হলো। নন্দিত এ জাতি যাত্রী ছিলো পবিত্র-মক্কা-মদীনার,কিন্তু এরা আরোহী হলো দিল্লী,পিকিং,মস্কো ও ওয়াশিংটনের গাড়ীর। এ জাতির হতভাগ্য নেতৃবৃন্দ ইসলাম সম্পর্কেঅবলীলাক্রমে বলা শুরু করলো,।