ধর্মে বাড়াবাড়ি

0/5 No votes

Report this app

Description

ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ন জীবনাদর্শ। এখানে বাড়াবাড়ি বা সীমালংঘনের কোন স্থান নেই। আল্লাহ বলেন, দ্বীনের মধ্যে কোন বাড়াবাড়ি নেই [বাকারাহ ২/২৫৬]। তাই মানজ জীবনে বাড়াবাড়ি ইসলামে পছন্দনীয় নয়।

সেটা ইবাদতের ক্ষেত্রে হোক, আক্বীদার ক্ষেত্রে হোক কিংবা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে হোক না কোন বাড়বাড়ি কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু মানুষ অধিক তাক্বওয়া পরহেযগারিতা অর্জনের লক্ষ্যে কিংবা ইবাদতের ক্ষেত্রে সাধ্যাতীত প্রচেষ্টা চালাতে চায়

এটা ইসলামে আদৌ কাম্য নয়। মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর [তাগাবুন ৬৪/১৬]। রাসুলুল্লাহ ছাঃ বলেছেন, আমি যখন তোমাদের কোন নির্দেশ দেই, তখন তোমরা তা সাধ্যানুযায়ী প্রতিপালন কর[বুখারী, কিতাবুল ইতিছাম হা/৭২৮৮]। সুতরাং আমলে আখলাকে ইবাদত বন্দেগীতে চালু চলনে সর্বক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি পরিহার করে সাধ্যমত মধ্যপন্থা।

অবলম্বনের চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যের বাইরে নফল ইবাদত। করতে গিয়ে মানুষ এক সময় ফরয প্রতিপালনে আপারগ হয়ে পড়ে। অনুরূপভাবে সার্মর্থ্যের অতিরিক্ত দান-ছাদাক্বা করতে গিয়ে মানুষ দেউলিয়া হয়ে যায়। ফলে জীবন ধারণের জন্য অপমানজনক পথ অবলম্বন করতে হয়।

সেটা মোটেই কাম্য নয়। মহান আল্লাহ বলেন, কাউকে তার সামর্থের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয় না [বাকারাহ ২/১৩৩]। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কাজের ভার দেন না। [বাকারাহ ২/২৮৬]। তাই মানুষকে সাধ্যানুযায়ী কাজ করতে হবে এবং সীমালংঘন ও বাড়াবাড়ির পথ পরিহার করতে হবে।

আলোচ্য পুস্তিকায় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে। এজন্য বাংলা ভাষাভাষী জনগণকে দ্বীনের ব্যাপারে সীমালংঘন ও বাড়াবাড়ি থেকে মুক্ত রাখতে এবং তাদেরকে ইসলামী বিধান যথাযথ পালনের দিকনির্দেশনা প্রদাণের লক্ষে বইটির অনুবাদ করতে মনঃস্থ করি। বইটি পাঠকের উপকারে আসলে শ্রম সার্থক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments