তাবলীগের কাজ কি

0/5 No votes

Report this app

Description

এক হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি আরেক হলো নিজের সন্তুষ্টি । আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলতে গেলে মুজাহাদা করতে হয়। নিজের সন্তুষ্টিকে বর্জন করতে হয়। অথচ নিজের সন্তুষ্টির পথে চলা খুব সহজ । মন যা চাইল তাই করল। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি বর্জিত হলে আল্লাহ খুব অসন্তষ্ট হন। আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি মানেই মহাবিপদ। আসমান-যমীনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। চন্দ্র-সূর্য তারঁই সৃষ্টি।

তিনিই সংকীর্ণ অন্ধকার জগতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তার অসন্তুষ্টিতে মানুষ বিচলিত হয়, পেরেশান হয়।

তবে আল্লাহ এতটুকু অনুগ্রহ অবশ্যই করেন, মানুষ তারঁ অসন্তুষ্টির পথে পা বাড়াতেই থাকে, তবু তাকে পাকড়াও করেন না। বরং তার হেদায়েতের ব্যবস্থা করেন। পরিশুদ্ধির পথ করে দেন। এতেও যদি সে পথ না পায়, পরিশুদ্ধ না হয়-তবুও পাকড়াও করেন না। ফেরাউন! আপন দৃষ্টিতে খোদা । এ দাবীতে অটল। তাই বলে প্রথমেই তাকে পাকড়াও করেননি আল্লাহ ।

হযরত মূসা আঃ-কে প্রেরণ করেছেন বুঝাবার জন্যে। সে হযরত মুসা আঃ-কে উপহাস করেছে । মূসা আঃ-আবারও বুঝিয়েছেন। সে করেছে ঠাট্টা, করেছে বিদ্রুপ। তৃতীয়বার বুঝাতে চেয়েছেন আর অমনি রাগে-রোষে ফেটে পড়েছে ফেরাউন। বলে ওঠেছে, আমি ব্যতীত অন্য কাউকে মাবুদ মানলে আমি তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।

তার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতাও ছিল। বহু মানুষকে অন্ধ কারাগারে পাঠিয়েছে। হযরত মূসা আঃ বললেনঃ আমি যদি সুস্পষ্ট কিছু নিয়ে এসে থাকি, তবুও? সেতো কল্পনাও করেনি মূসা আঃ আবার সুষ্পষ্ট কি নিয়ে আসবেন ! তারঁ আনার-ই বা কি আছে? সে বললঃ তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে নিয়ে আস।

এবার হযরত মূসা আঃ তারঁ লাঠিটি মাটিতে ছেড়ে দিলেন লাঠি এক বিরাট অজগর বনে গেল। স্বীয় হাত বগলের তলে চেপে ধরে বের করতেই উজ্জ্বল আলোকময় হলে ওঠল। এ চিল ফেরাউনের জন্যে হেদায়েতের পাথেয় পথপ্রাপ্তির উপায়-উপকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments