আয়াতুল হারক

0/5 No votes

Report this app

Description

আয়াতুল হারক অর্থাৎ কোরআনুল কারিমের জাহান্নাম ও আযাব সংক্রান্ত আয়াতসমূহ।
রুকইয়ার মাঝে এইসব আয়াত সাধারণত কয়েকটা কারণে পড়া হয় –
১। ওয়াসওয়াসা থেকে সুস্থতা লাভের আশায়।
২। জ্বিনকে শাস্তি দেয়ার নিয়তে।
৩। যাদুর জিনিস লুকানো থাকলে তা পুড়িয়ে ফেলার নিয়তে।
এছাড়া হয়তো আরও বিবিধ ব্যবহার রয়েছে। আল্লাহ ভাল জানেন। পড়ার সময় আপনি নিয়ত করবেন কেন পড়ছেন, এরপর তিলাওয়াত শুরু করবেন। তাহলেই উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।
আয়াতুল হারকের তালিকাঃ
১। সুরা বাকারা। আয়াত নং ২৫৫, ২৬৬
২। সুরা আলে ইমরান। আয়াত নং ১০, ১১৬, ১৮১
৩। সুরা নিসা। আয়াত নং ৫৬
৪। সুরা মায়িদাহ। আয়াত নং ৩৭
৫। সুরা আনআম। আয়াত নং ১২৮।
৬। সুরা আনফাল। আয়াত নং ৫০
৭। সুরা ইব্রহিম। আয়াত নং ১৫,১৬, ১৭, ৪৯, ৫০।
৮। সুরা হিজর। আয়াত নং ১৬, ১৭, ১৮।
৯। সুরা কাহাফ। আয়াত নং ২৯।
১০। সুরা মারইয়াম। আয়াত নং ৪
১১। সুরা ত্বহা। আয়াত নং ৯৭।
১২। সুরা আম্বিয়া। আয়াত নং ৩৯, ৬৮, ৯৮।
১৩। সুরা হাজ্ব। আয়াত নং ৯, ১৯, ২০, ২১, ২২।
১৪। সুরা ম’মিনুন। আয়াত নং ১০৩, ১০৪
১৫। সুরা নামল। আয়াত নং ৯০।
১৬। সুরা আনকাবুত। আয়াত নং ২৪।
১৭। সুরা আহযাব। আয়াত নং ৬৬।
১৮। সুরা ফাতির। আয়াত নং ৩৬, ৩৭।
১৯। সুরা সফফাত। আয়াত নং ৭, ৮, ৯, ১০।
২০। সুরা যুমার। আয়াত নং ১৬, ১৯।
২১। সুরা মু’মিন। আয়াত নং ৬, ৭২।
২২। সুরা হামীম সিজদাহ। আয়াত নং ৪০
২৩। সুরা দোখান। আয়াত নং ৪৩ থেকে ৫০।
২৪। সুরা মুহাম্মাদ। আয়াত নং ১৫।
২৫। সুরা নাজম। আয়াত নং ১
২৬। সুরা ক্বামার। আয়াত নং ৪৮।
২৭। সুরা আররাহমান। আয়াত নং ৩১ থেকে ৩৫
২৮। সুরা ওয়াক্বিয়া। আয়াত নং ৫১ থেকে ৫৫
২৯। সুরা মূলক। আয়াত নং ৫ থেকে ৯।
৩০। সুরা জ্বিন। আয়াত নং ৮,৯,১৪,১৫।
৩১। সুরা বুরুজ। আয়াত নং ১০।
৩২। সুরা ত্বরিক। আয়াত নং ১ থেকে ৪
৩৩। সুরা লাইল। আয়াত নং ১৪, ১৫, ১৬।
৩৪। সুরা আল ক্বরিয়াহ। আয়াত নং ৮ থেকে ১১।
৩৫। সুরা হুমাযাহ। আয়াত নং ৪ থেকে ৯
লক্ষনীয়ঃ
> এই আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাওয়া যাবে, পানিতে ফু দিয়ে গোসল করাও যাবে। অলিভ ওয়েলে ফু দিয়ে সারা গায়ে মালিশ করা যাবে।
> যেহেতু জাহান্নাম, আযাব, আগুন সংক্রান্ত আয়াত সেহেতু এইগুলো পড়লে একজন অসুস্থ মানুষের গা গরম হওয়া, গা জ্বালাপোড়া করা, অস্থির লাগার অনুভূতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেকোনো রুকইয়াহর গোসল করলে প্রশান্তি বোধ হতে পারে।
> যতবার খুশি ততবার করে পড়া যাবে। যখন খুশি পড়া যাবে। একবারে কমপক্ষে ৪০-৪৫ মিনিট পড়া উচিত। (এর পাশাপাশি অন্য কিছু তেলাওয়াত করতে বলা হলে আরও কম সময় তেলাওয়াত করলেও সমস্যা নেই ইন শা আল্লাহ।)
>সবগুলো আয়াতের পিডিএফ এই লিংকে পাওয়া যাবে 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments