মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জন্য যে ধর্ম নির্দিষ্ট করে দেন সেই সর্বোত্তম অবিনশ্বর ধর্মের বাণী বহন করে যুগে যুগে একদল অত্যুজ্জ্বল আলোকময় পুরুষ দুনিয়াতে আভির্ভূত হয়েছেন । তারাঁ আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত , প্রেরিত। এ আলোকবাহী দূতগণকে আমরা রাসুল বা নবী নামে আখ্যায়িত করি।
হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত- আলোক অভিযাত্রীগণের এ যেন এক সুদীর্ঘ কাফেলা। যেন তারাঁ দৌড়েঁ এসেছেন সমকালের মানুষের মাঝখানে। একজনের কাজ যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে তিনি তাঁর হাতের কাজ দিয়েছেন অন্যজনের হাতে। কাজের দায়িত্ব গ্রহন করে তিনি ও তখন দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করেছেন। তারপর পরবর্তীজনের নিকট কাজের ভার তুলে দিয়ে তিনিও থেমে গেছেন।
এ দীর্ঘ কাফেলার শেষতম হলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তারঁ আপাত যাত্রা-বিরতি ঘটেছে ১২ রবিউল আউয়াল,১১ হিজরী। সোমবার সকলবেলা। ইংরেজী,৭ জুন, ৬৩২ খ্রীষ্টাব্দ। আপাত-বিরতি বলেছি এ কারণে যে, রাসুলে করীম সাঃ এর ইন্তেকালের পরেও আলোকাভিসার বন্ধ হয়নি। বন্ধ হবেও না কোনদিন। আল্লাহ প্রদত্ত দ্বীনের আলো কখনো নিভবে না ।
রাসুল সাঃ যে ধর্মে আদর্শ রেখে গেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাঃ যে জীবন-ধর্মে আদর্শ রেখে গেছেন, তারঁ সুযোগ্য সোনালী জ্যোতির্ময় উত্তর পুরুষের দল সে আদর্শ বুকে বহ করে এসেছেন যুগের পর যুগ। তারঁ পরেই আদর্শিক জীবন বহন করেন, তারা হলেন অব্যবহিত আলোকিত অনুগামীর দল সাহাবায়ে কেরাম । তারপরে তাবেয়ীদিগের স্থান। আর এদরঁই একজন হলেন ইমাম জাফর সাদেক (র)জাফর সাদেক (র)-এর কুনিয়াত আবু মুহাম্মদ। হযরত আলী (র)-এর সুযোগ্য বংশধর তিনি
অতএব সে হিসাবে রাসুলে করীম সাঃ এর আহলে বাইয়াত তথা পরিবার পরিজনের অন্তর্ভুক্ত। বলা হয়েছে, প্রসিদ্ধ বারো জন ইমামের মধ্যে তিনিও একজন তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন । কুরআন ও ফিকাহ শাস্ত্রে তারঁ অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিল। আর আমরা যাবে বলি এলমে মারেফাত-তাও ছিল তারঁ গভীর, সমকালের সেরা। এ বিষয়ে প্রচুর তত্বপূর্ণ বাণী তিনি রেখে গেছেন ।অর্থাৎ শরীয়ত ও মারেফাত-দু-দিক দিয়ে তিনি প্রজ্ঞাবান