মুহম্মাদ (সাঃ) এর জীবন এক বিশাল ও বিস্তৃত ব্যাপার , এক মহাসাগর। মহাকবি মিল্টনের ভাষায় beyond less bound less and bottom less sea;পৃথিবীর অথৈই জলরাশির একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকলেও ক্ষুদ্র একটি চামচ হাতে কেউ যদি এ জলরাশির পরিমাপ করতে চায় তবে তা হবে একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা মাত্র।
যদিও রাসূলুল্লাহ সঃ তেষট্টি বছরের একটি সংক্ষিপ্ত জীবন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এর গভীরতা, ব্যাপকতা ও বিস্তৃতি এতই বেশী যে সকল যুগের আগণন অসংখ্য মানব এবং তাদের সকল শ্রেণী, গোষ্ঠী ও রুচির প্রয়োজন মেটাতে মহানবীর এক জীবনই যথেষ্ট।
মানুষের জ্ঞানের দিগন্ত যতই প্রসারিত হচ্ছে নবী মুস্তফার সঃ প্রয়োজন ও আলোচনা ততই বেড়ে চলেছে। নবীজির নিজের যুগে বিশ্ব তাকেঁ যতটুকুন অনুভব করেছিল, আজকের বিশ্বে তিনি অনুভূত হচ্ছে পূর্বের চাইতেও অনেক বেশী। অনাগতকালের জটিল বিশ্ব তাকেঁ স্বরণ করবে, তারঁ জিকির করবে, আজকের চাইতেও অনেক বেশীভাবে।
আল্লাহ তায়ালা তারঁ কালামে যেমন বলেছেনঃ আমি আপনার আলোচনার দিগন্তকে প্রসারিত করেছি। (সূরাঃ আলামনাশরাহ,-8)। বিশ্বনবীর আগমন সংবাদ…। বিশ্বের প্রতিটি জনপদে, সময়ের প্রতিটি অধ্যায়ে আল্লাহর বান্দাদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছেন মানবতার শিক্ষক নবী রাসূলগন। প্রত্যেক জাতির জন্য রয়েছেন পথ প্রদর্শক। (আল-কুরআন)।