আল কুরআন আল্লাহর গ্রন্থ। ভাবে-ভাষায়-শব্দে আল কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত, অবতীর্ণ। সাহিত্যের সকল ধরন-ধারণ ছাপিয়ে, কি নান্দনিকতায় কি পরিব্যাপ্ত জ্ঞানের সঞ্চারে, প্রজ্ঞার মহিমান্বিত-নিটোল বিচ্ছুরণে আল কুরআনের উচ্চতা অপরিমেয়। কোনো মনুষ্য রচনা আল কুরআনের শীর্ষতা স্পর্শ করতে অক্ষম, অপারগ। সে হিসেবে আল কুরআন নিজেই তার ঐশী উৎসের দ্ব্যর্থহীন ঘোষক।
আল কুরআনের সকল দিকই অলৌকিক। জ্ঞানে, অভিজ্ঞতায় মানুষ যতোই সমৃদ্ধ হচ্ছে, আল কুরআনের অলৌকিক। জ্ঞানে, অভিজ্ঞতায় মানুষ যতোই সমৃদ্ধ হচ্ছে, আল কুরআনের অলৌকিক দিকগুলো নানা আঙ্গিক থেকে স্পর্শ করার সুযোগ পাচ্ছে। বিশেষত আধুনিক বিজ্ঞান।
রও দেখুনঃ বৈজ্ঞানিক আবিস্কার..বিভিন্ন শাখায়, বিচিত্র ময়দানে.. আল কুরআনের অলৌকিতার পক্ষে পেশ করে যাচ্ছে একের পর এক দলিল, উন্মোচিত করে যাচ্ছে এর রহস্যালোক স্তরে-স্তরে। বর্তমান বইটি আল কুরআনের অলৌকিক ও রহস্যময় বিষয়কেন্দ্রিক একটি অনবদ্য রচনা। বিষয়বস্তুর চয়নে, বিন্যাসে, সাবলীল উপস্থাপনায়, বইটি এক্ষেত্রে রচিত অন্যান্য বইয়ের তুলনায়.. অনন্যসাধারণ বললে অত্যুক্তি হবে না।
আল কুরআনের ১৬০ মুজিজা ও রহস্য। রচয়িতা ড, মাজহার কাজি। বইটি, আল কুরআনের অলৌকিক ও রহস্যময় দিকগুলোর উন্মোচনে খুবই চমৎকার বলে মনে হয়েছে। সাবলীল ভাষায়, মনোজ্ঞ উপস্থানে, তথ্যবহুল রচনায় সমৃদ্ধ এ-বইটি আমেরিকা থেকে বগলে করে নিয়ে এসেছেন কল্যণকামী এক দুর্লভ মানুষ জনাব এম মুসলেহ উদ্দিন।
বইটি পড়ে অনেকেই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানালেন। হবারও কথা তাই; কেননা আল কুরআনের ঐশী উৎসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর ইসলামি ভাবাদর্শকে অকাট্য, শাশ্বত, নির্ভুল বলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। মাওলানা ফয়জুল্লাহ মুজহিরী যথেষ্ট শ্রম দিযে অল্প সময়ে বইটির অনুবাদকর্ম সম্পন্ন করেছে। উদিয়মান লেখক আলী হাসার তৈয়ব বইটির বইটির সার্বিক পরিমার্জনে আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের সবাইকে উত্তম জাযা দান করুন। যারা আল কুরআনের প্রতি বিশ্বাস, বইটি তাদের বিশ্বাসের ভিত আরো মজবুত, সৃদৃঢ় করবে বলে আশা। যারা অবিশ্বাসী, আশা করা অসঙ্গত হবে না, তাদেরকেও বিশ্বাসী করে তুলবে, আগ্রহ-প্রেরণার উপস্থিতি শর্তে। ইসলামি আদর্শ-জীবনবোধের চৌসীমনার বাইরে, ভিন্ন আদর্শের গড্ডালিকা প্রবাহে গা-ভাসানোর উন্মত্ততায় যারা আক্রান্ত, বইটি তাদের জন্য বিশেষভাবে কাজে আসবে বলে আমার ধারণা।