বিশিষ্ট্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা ইবনে জাজরি লেখক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর লেখার বিষয়বস্তু মাসনুন দোয়া দরুদ। হিসনে হাসিন গ্রন্থে তিনি বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ থেকে দোয়া দরুদের এক বিশাল সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। কোন বড় কিতাবেই এসব দোয়া দরুদ একত্রে পাওয়া যায় না। চমৎকার ভাবে সংকলিত এই গ্রন্থকে আল্লাহ তায়ালা অসাধারণ জনপ্রিয়তা দিয়েছেন। বিগত ছয়শত বছর যাবত এই গ্রন্থ মুসলিম বিশ্বের নবী প্রেমিকদের তৃষ্ণা নিবারণ করে চলছে।
ইবনে জাজরির বংশধারা নিম্নরূপ। মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে ইউসুফ আল জাজরি। তাঁর জন্মের ঘটনা বিস্ময়কর। তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী ইবয়ের পর ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও তাঁর কোন সন্তান হয়নি
৪০ বছর পর একবার হজ্জ্ব পাল করতে গয়ে তাঁর পিতা জম জম কূপের পানি পান করে আল্লাহর নিকট দোয় করেন, হে আল্লাহ আমাকে একটি পূন্যবান পুত্র সন্তান দান করো। অন্তরের গভীর থেকে উচ্চারিত এই দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। এবং ঐ দোয়া আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ৭৫১ হিজরীর ২৫ রমজান সোমবার রাতে ইবনে জাজরি জন্মগ্রহণ করেন। সিরিয়ার রাজধানী দামেশকের বিখ্যাত মহল্লা কাসাআইনে ইবনে জাজরির জন্ম হয়েছিল। পরবর্তী কালে এই শিশু বিখ্যাত আলেম এবং মুহাদ্দিস হয়েছিলেন।
ইবনে জাজরি ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন এবং সুগঠিত পুরুষ। হিজরী অষ্টম এবং নবম শতাব্দীতে দামেশকে ছিল জ্ঞানের শহর। ইবনে জাজরি শৈশবে দামেশকে শিক্ষা লাভ করেন। শিশবেই তিনি কোরআন শরীফ কন্ঠস্থ করতে শুরু করেন। এবং ১২ বছর বয়সের সময় কোরআনের হাফেজ হন।
ইমাম ইবনে জাজরির প্রিয় বিষয় ছিল কেরাত। এ বিষয়ে তিনি ছিলেন অসাধারণ বিশেষজ্ঞ। তিনি ছিলেন এ বিষয়ের ইমাম। হাদীস এবং কেরাতের জ্ঞানের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ অনুরাগ। মুসলিম বিশ্বে কেরাতের পন্ডিত বলতে ইমাম জাজরিকেই বোঝাতো।