এই বইটির কাহিনী গুলো সত্যিই অত্যন্ত হৃদয় ছোঁয়া ও শিক্ষনীয়।বইটির নাম দেখেই বুঝা যায় কতটা হৃদয়স্পর্শী কাহিনী।এ পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তা অাল্লাহ তা’য়ালার ইচ্ছা ও নির্দেশেই ঘটে।যার মৃত্যু অাল্লাহ যখন রেখেছেন তখনই হবে।এর একটু অাগে বা পরে হবে না।তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ বইয়ের একটি কাহিনী খালেদ বিন ওলীদ (রা.)। যিনি বিষপান করেও মৃত্যুবরন করেননি।অামাদের বিশেষ করে কোন বিপদের সময় অামরা ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়ি।নিজেকে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারি না।কিন্তু উম্মে সুলায়ম(গোমাইসা বিনতে মালহান) তার কঠিন মুহুর্তেও ধৈর্য্যহারা হননি।এ কাহিনীটা অামাদের নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত শিক্ষনীয়।বর্তমান এ যুগটি এমন এক যুগ অশ্লীলতা, বেহায়াপনার ছড়াছড়ি।মানুষ এমন সব কাজ করে।পাপকে পাপই মনে হয়না।এখানে এমন একটি ঘটনা অাছে যা এক বিশ্ময়কর কাহিনী এক যুবকের জিনা করার ইচ্ছা জেগেছিল। সে অাল্লাহর রাসুল(স) এর কাছে এরজন্য অনুমতি চাইতে গেলে অাল্লাহর রাসুল(স) যে সুন্দর জবাব দিয়েছেন।যা এ সমাজের যুবক যুবতীদের জন্য অনুপ্রেরনামূলক।অামরা নারীরা প্রায়ই গৃহের কোন কাজ করতে গেলে অালসেমী করি।অথবা কাজ করতে করতে অস্থির হয়ে পড়ি।অন্যকে দিয়ে কাজ করাই অনেকসময়।হযরত ফাতেমা (রা) যখন অাল্লাহর রাসুল(স) এর কাছে দাসী চেয়েছিলেন ওনার কাজে সাহায্য করার জন্য তখন অাল্লাহর রাসুল(স) যে সুন্দর একটি অামল শিখিয়ে দিয়েছেন যার জন্য কোন দাসীর প্রয়োজন নেই।ঐ অামল করলে নিজে একাই সব কাজ করা সম্ভব।এখানে অারো অনেক কাহিনী অাছে যা অামাদের এ সমাজের জন্য খুবই শিক্ষানীয়।এমনকি কি কিছু কাহিনী এমন যে বিশ্বাস করাও যেন দুষ্কর।অাল্লাহর ওলীরা কেমন ছিলেন,সাহাবিরা,সাহাবিয়্যাতরা কেমন ছিলেন,তাদের সততা,ন্যায় নিষ্ঠতা,ধৈর্য্য খুবই মুগ্ধকর।কিছু কিছু কাহিনী পড়ে খুবই বিস্মিত হয়েছি অাহমদ কবীর রেফাই (র) এর প্রথম ঘটনাটি খুবই বিস্ময়কর।অারো অাশ্চর্যায়িত হয়েছি এক বৃদ্ধার কাহিনী পড়ে।যিনি কিনা সার্বক্ষণিক কোরঅানের ভাষায় কথা বলতেন।অাল্লহু অাকবার।কিভাবে সম্ভব সার্বক্ষণিক কুরঅানের ভাষায় কথা বলা।কিছু কিছু কাহিনী পড়ে অনুপ্রানিত হয়েছি যেমন,উম্মে সুলায়ম এর ধৈর্য্যের কাহিনী,তাসবীহে ফাতেমী সম্পর্কে, জান্নাতী হুর অর্থাৎ হযরত ওমর ফারুক (রা) এর পুত্র বধু সম্পর্কে। মেয়েটির যে সততা দেখে ওমর (রা) তার স্বীয় পুত্র হযরত অাব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা) এর সাথে তার বিয়ে দিয়েছিলেনন।সুবহানঅাল্লাহ। অারো অনেক অনেক বিস্ময়কর কাহিনী অাছে এ বইটিতে।যা অামাদের বর্তমান সমাজের জন্য অনুপ্রেরনামূলক কাহিনী।
লেখক পরিচিতি:বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সমস্যাসঙ্কুল পথ পরিক্রমায় দিকনির্দেশনার মহান দায়িত্ব যারা পালন করে যাচ্ছেন, পাকিস্তান শরয়ী অাদালতের সাবেক চীফ জাষ্টিস,মুফতীয়ে অাযম অাল্লামা মুফতী মুহাম্মদ শফী(রহ.) এর সুযোগ্য সন্তান অাল্লামা তকী উসমানী (দা.বা) তাঁদের মধ্যে অন্যতম।তাঁর যৌক্তিক তথ্য নির্ভর গবেষণার ফসলই বলতে হবে বর্তমান সময়ে অাধুনিক এবং অর্থব্যবস্থায় ইসলামী সমাধান। এই মহান ব্যক্তিত্ব শুধু ইসলামী অর্থব্যবস্থায় নয় সমকালীন ইসলামের তাবৎ সমস্যার সমাধানে শক্ত হাতে কলম চালিয়েছেন।সব বিষয়ে তার রয়েছে বিশাল পান্ডিত্য ও দখলদারিত্ব।হাদীস,ফিকহ্,তাফসীর সহ ইসলামের এমন কোন বিষয় নেই যেখানে তার পদচারনা নেই।তিনি সুবাসিত পুষ্প হয়ে দ্বীনি এলেমের সুঘ্রাণ বিলিয়ে যাচ্ছেন,অার এলেম পিপাসুরা ভ্রমর হয়ে তা অাহরন করছে।এলমে দ্বীনের কিতাব রচনায় যেমন দেখিয়েছেন অসাধারন পারদর্শিতা। তেমনিভাবে বয়ান ও বক্তৃতায়ও দেখিয়েছেন ঈর্ষনীয় সাফল্য।
বিষয়বস্তু:
রিভিউ তে তো কিছু কিছু কাহিনীর সারসংক্ষেপ বললামই।এ বইটি সত্যিই হৃদয়স্পর্শী একটি বই।প্রতিটি কাহিনী শিক্ষানীয় এবং অনুপ্রেরনামূলক। এখানে প্রায় ৯৮ টি কাহিনী রয়েছে।প্রতিটি কাহিনীই
অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। সামান্য কিছু কাহিনীর নাম বলছি,অাহমদ কবীর রেফাই (রহ.) এর বিস্সয়কর কাহিনী,বিনয়ের পুরস্কার, এক যু্বকের গল্প,এক রাখালের গল্প,,বেহেশতের সুসংবাদ,এক কামারের গল্প,শয়তানের তওবা,এক বুযুর্গের ঘটনা,মরা লাশের ওসিয়ত, অাল্লাহর কুদরত,নবীজির সঙ্গে ঘনিষ্টতা,খোদা প্রেমের।