আমরা,মুসলমানরা, জিন জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাসী। কারণ, মহাস্রষ্ট্র আল্লাহ পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় জিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেছেন সুস্পষ্ট ভাষায়। প্রিয় নবীজির প্রিয় হাদীসেও জিন বিষয়ক বহু আলোচনা পাওয়া যায়। তাই জ্বীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখার বিষয়টি ঈমান-আকীদর ই অংশ হয়ে দাড়ায়
মূলতঃ অমুসলিম পন্ডিতদের মধ্যে রয়েছে ভূত নিয়ে অদ্ভুতরকমের বিভ্রান্তি। এদের মধ্যে একদল পন্ডিত ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। ওরা নিজেদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে নানান ধরনের যুক্তি ও প্রমাণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেণ। কিন্তু আরেকদল অমুসলিম পন্ডিত সেগুলোকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেন।
আসলে উভয় দলই বিভ্রান্ত। কেননা, ভূত বলে কিছুই নেই। আছে জিন। জিনদের বিভিন্ন কার্যকলাপ মাঝে মধ্যে দেখে শুনে কেউ কেউ সেগুলোকে ভূতের কারসাজি বলে মনে করেন। এবং ওগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হাতড়াতে থাকেন ভুতে অবিশ্বাসীরা।
কিন্তু আমরা যারা জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাসী, জ্বিদের বিষয়ে অনেক কিছুই জানি না। আমরা অনেকেই জানি না জিনরা কী খায়, কোথায় থাকে, কীভাবে বংশ বাড়ায়, মরে গেলে ওদের দেহ কোথায় যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। তই সঙ্গত কারণেই আমাদের মনে জিনদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে অজস্র কৌতূহল দেখা দেয়। জানতে ইচ্ছে হয় জিন বিষয়ক নানান খুঁটিনাটি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের অনেকেরই এই স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পূরণ হয় না। কারণ জিনবিষয়ক নির্ভরযোগ্য বই পুস্তক যেমন স্বল্প তেমনই দুষ্প্রাপ্য। বাংলায় তো ছিলই না।
আমাদের ইসলামী জ্ঞানভান্ডারের প্রধানতম উৎস আরবীতে জিনবিষয়ক গ্রন্থ লেখা হয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি । আল্লামা বদরুদ্দিন শিবলী রহঃ (৭২৯ হিঃ) প্রনীত আকামুল মারজ্বান ফী আহ্বকামিল জ্বান।