মৃত্যু অবধারিত। এ থেকে পালাবার কোন পথ নেই। মুমিন বান্দার জন্য এই মৃত্যু আরো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মৃত্যুর মাধ্যমেই তার মিলন ঘটে পরম প্রিয় মাওলানা সাথে। মুমিনের জন্য মৃত্যু হচ্ছে একটি সেতু স্বরূপ। যা অতিক্রম করে সে বন্ধুর সাথে মিলিত হবে। তাই মৃত্যুর সময় থেকে নিয়ে দাফন পরবর্তী পর্যায় অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শরীআত সম্মতভাবে অতিক্রম করা জরুরী। যাতে মাওলার সাথে তার মিলন মাওলার ইচ্ছানুযায়ী সম্পন্ন হয়।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এসব বিষয়ের শরঈ আহকাম না জানা থাকার দরুন আমরা মৃত ব্যক্তির সাথেও সুন্নতের বরখেলাপ আচরণ করে নিজেরাও গুনাহগার হচ্ছি আর তাকেও আযাবের সম্মুখীন করছি। সুতরাং মৃতু ব্যক্তির সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে কিভাবে তাকে দাফন করতে হবে
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন; জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে; অতঃপর যাকে দোযখ থেকে মুক্তি দেয়া হবে এবং জান্নাতের প্রবেশ করানো হবে, সে হবে সাফল্যবান। বস্তুত পার্থিব জীবন ধোকাঁ ছাড়া আর কিছুই নয়। (সূরা আলে ইমরান-১৮৫)।
আখিরাতের চিন্তা মূলত যাবতীয় দুঃখ বেদনার প্রতিকার ও সমস্ত সংশয়ের উত্তর। উক্ত আয়াতে এই বাস্তব তাকেই স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। তাই এ দুনিয়াবী ক্ষনস্থায়ী জীবনে যদি কখনো কোথাও কাফিররা বিজয়ী হয়ে যায় এবং পরিপূর্ণ আরাম আয়েশ লাভ করে আর তারই বিপরীদে মুসলমানগণ যদি বিপাদাপদ, জটিলতা ও পার্থিব উপকরণে সংকীর্ণতার সম্মুখীন হয়।