ঈফ ও জাল হাদীছ বর্জনের মূলনীতি

0/5 No votes

Report this app

Description

দ্বীন ইসলামের ক্ষতি সাধন, মুসলিম এক্য বিনষ্টকরণ এবং তাদেরকে সঠিক পথ ও কর্মসুচী থেকে বিভ্রান্তকরণে যে কয়নি বিষয় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে তার মধ্যে জাল ও যঈফ হাদীছ অন্যতম।

মুসলিম জাতির মধ্যে সকল বিষয়ে মতপার্থক্য ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার প্রদাণ কারণ হচ্ছে যঈফ ও জাল হাদিছ। অথচ হাদীছ বর্ণনা করতে গিয়ে কেউ যেন মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকাবাজির আশ্রয় না।

নেয় সেজন্য রাসুল সাঃ চূড়ান্ত হুশিঁয়ারি উচ্চারন করেছেন। ছাহাবায়ে কেরাম উক্ত হুঁশিয়ারীর ব্যাপারে সতর্ক থেকে যথাযথ পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন। এরপরও ইহুদী-খ্রীষ্টান চক্র এবং কতিপয় পথভ্রষ্ট মুসলিম গোষ্ঠী ইসলামের নামে অসংখ্য জাল ও যঈফ হাদীছ রচনা করেছে।

মুসলিম সমাজে আক্বীদার ক্ষেত্রে যেমন সীমাহীন বিভক্তি ও মতপার্থক্য বিদ্যমান তেমনি ছোট-বড় সকল প্রকার ইবাদতের ক্ষেত্রে পারস্পরিক মতভেদ বিরাজমান ফলে মুসলিম উম্মাহ অসংখ্য দলে-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের তাহযীব তামাদ্দুন নির্বাচিত হয়েছে। এই করুন পরিণতির জন্য বিশেষভাবে দায়ী জাল যঈফ হাদীছ এবং শরীআতের নামে প্রণীত কল্পিত অপব্যাখ্যা ।

কিন্তু এই বিভক্তি ও মতানৈক্য নিয়েও কোন মাথা ব্যথা নেই? কারণ এক্ষেত্রে হাদীছের নামে মিথ্যা কথা প্রচলিত আছে-মত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, মতভেদ রহমত স্বরূপ। যেমন বর্ণনা করা হয় যে, আমার উম্মতের মতভেদ রহমত স্বরূপ। ছাহাবীগণের মধ্যেও মতভেদ ছিল বলে উৎসাহ দিয়ে প্রচার করা হয়, আমার ছাহাবীদের মতভেদ তোমাদের জন্য রহমত স্বরূপ।

এটাও একটি মিথ্যা হাদীছ। আলেমদের মতানৈক্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে রহমত স্বরূপ। এটা কোন হাদীছই নয় অথচ এই মিথ্যা কথা রাসুলের নামে প্রচার করা হয়। কতিপয় আলেম গর্বের সাথে প্রচার করে থাকেন, আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, তারা কোন বিষয়ে একমত পোষণ করবেন না। অর্থাৎ তারা সদা-সর্বদা মতভেদে নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments