৫৭০ সাল। ২৯ আগষ্ট। ১২ রবিউল আউয়াল। আরবের মক্কা নগরী রত্নগর্ভা মা আমেনার পর্ণ কুটির। রাত পোহাবার আর বেশি দেরি নেই। সুবহে সাদিকের সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। সুবহে সাদিক মানে দিনও নয় রাতও নয়।
এই সময পর হলেই রাত শেষ হয়, শরু হয় দিনের পথচলা। এক অপূর্ব সুন্দর সময় এটি। রাত-দিনের এই আবছা অন্ধকারে আলোর ফোয়ারা ছুটিয়ে দুনিয়ার এলেন এক শিশু। বেশ ফুটফুটে। ফুলের মতো অনিন্দ্য সুন্দর। তিনি আরকে? আমাদের প্রিয়নবী দুনিয়ার সেরা মানুষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ।
সেদিনকার সকাল ছিল সুন্দর ও ঝলমলে। মা আমেনার পর্ণ কুটির আশেপাশে ফেরেশতারা এসে ভিড় করেছেন। পাখপাখালি মধুর সুরে গান ধরেছে। সর্বত্র খুশির এক অনাবিল আমেজ। বাতাসে কানাকানি, গুঞ্জরণ। হলদে কাচাঁ রোদের ঠোটে মনভোলা লাল হাসি । গোটা প্রকৃতিজুড়ে আনন্দের উতরোল্ কেননা, দুনিয়ার এসেছেন জগতের নবী, মানুষের সেরা মানুষ ।
শিশুনবী সাঃ-এর মায়ের নাম আমিনা। আর পিতার নাম আবদুল্লাহ । তিনি আবদুল মুত্তালিবের পুত্র । মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ গোত্রের বড় নেতা মুত্তালিব। এই খ্যাতনামা গোত্রে জন্মগ্রহন করেন আমাদের প্রিয়নবী, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আরবরা দুজন নবীর বংশধর। একজন হযরত নূহ আঃ । অপর জন ইসমাঈল আঃ । ইসমাঈল আঃ-এর বংশের নাম কুরাইশ । কুরাইশ একটি সম্মানিত গোত্র। কাবাঘরের হেফাজতকারী তারা। এই গোত্রের নেতারা মক্কার প্রধান ব্যক্তি। নবীজীর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন ছিলেন গোত্রের প্রধান।
কুরাইশদের নেতা। আবদুল মুত্তালিবের বারোজন ছেলে। তার মধ্যে আবদুল্লাহ একজন। তিনি ছিলেন অতিশয় ভদ্র, নম্র, দয়ালু ও বিনয়ী। তার সাথে বিয়ে হয় মা আমেনার। কিছুদিন পর আল্লাহ ফেরেশতা জিব্রাঈল আঃ আমেনার কাছে এসে হাজির হলেন। তিনি বললেনঃ শোনেন আমেনা, আপনাকে এক শুভ সংবাদ দিচ্ছি। আপনার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান হবে। তারঁ নাম রাখবেন মুহাম্মদ ।