অধিকাংশ মুফাসসিরগণের মতে অনর্থন কথা- এর দ্বারা গান উদ্দেশ্য। ইবনু মাসঊদ রাঃ বলেন: তা হচ্ছে গান। হাসান বাসরী বলেন; এ আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। মহান আল্লাহ তাআলা শাইত্বনকে লক্ষ্য করে বলেন।
তাদের মধে থেকে তুমি যাদেরকে স্বীয় কন্ঠ দ্বারা বিপথগামী করতে পার তাদেরকে বিপথগামী করতে থাক। নবী করীম সাঃ বলেছেন: আমার উম্মাতের মধ্যে অনেক সম্প্রদায় আসবে যারা এ বিশ্বাস পোষণ করবে যে, ব্যভিচার, খাটিঁ রেশমী কাপড়,মদ পান ও বাদ্যযন্ত্র হালাল অথচ তা হারাম। বাদ্যযন্ত্র বলতে প্রত্যেক সুরেলাবস্তু যা উচুঁ কণ্ঠকে বুঝায়।
যেমন, কাঠ, বাশিঁ, ত্ববলা, পেয়ালা, খঞ্জনি ইত্যাদি এমনকি ঘন্টাও হতে পারে। নবী করীম সাঃ বলেছেনঃ ঘন্টি হচ্ছে শাইত্বনের বাশিঁ। হাদীসটি তার ঘন্টির শব্দ মাকরূপ হওয়ার ওপর প্রমাণ বহন করছে । প্রাক ইসলাম যুগের লোকেরা একে চতুষ্পদ জন্তুর গলায় ঝুলিয়ে রাখত, এতে খৃষ্টানদের ব্যবহার্য বড় ঘন্টার সাদৃশ্য রয়েছে।
তবে বুলবুলির স্বরকে এর পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিতাবুল কাযাতে ইমাম শাফিঈ রহ. থেকে উদ্ধৃত হয়েছে, গান অপছন্দনীয় অর্থনীন বাতিল কাজ, যে অধিক হারে একে ব্যবহার করে সে নির্বোধ, তার সাক্ষ্য অগ্রহনীয়। ইসলাম কোন জিনিসকে হারাম করলে কেবল এজন্যই হারাম করেছে যে, তাতে অনিষ্ট রয়েছে, আর গানে সঙ্গীতে ও বাজনায় রয়েছে প্রচুর অনিষ্ট।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইম্যিায় রহ. তা উল্লেখ করেছেন। যেমন ; বাদ্যযন্ত্র: এ হচ্ছে মারাত্মক মাদক। মদের গ্লাস অপেক্ষা বেশী ক্রিয়াশীল। তাই যখন লোকেরা সুরের দ্বারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে তখনই তাদের মাঝে শিরক ঢুকে পড়ে এবং তার ঘৃণ্য ও অত্যাচারের কাজের প্রতি ঝুকে যায় তথা শিরক করে।