সেই দিনটি ছিল ১২ই রবিউল আওয়াল সোমবার মোতাবেক ২৯ আগষ্ট ৫৭০ খ্রি.। অবশ্য সোমাবার নিয়ে কারো দ্বিমত না থাকলেও তারিখ ও সনের ব্যাপারে ব্যাপক মতানৈক্য বিদ্যমান , তবে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত এবং প্রসিদ্ধ মত এটিই।মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম গ্রহনের পর স্বীয় জননী মা আমেনা দুগ্ধপান করে এবং কয়েকদিন পর আবু লাহাবের বাদী ছাওবিয়ার দুগ্ধপান করেছিলেন।
এরপর আল্লাহ প্রদত্ত এই শ্রেষ্ঠ দৌলত হালিমা সাদিয়ার নসীব হয়।মহান কৌশলী আল্লাহ তায়ালার স্বীয় রহমতে কোলে লালনের জন্য মহাবিশ্বের শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত, মহান নেতা সাইয়েদুল কাওনাইন, মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ জন্মের পূর্বেই পিতৃহারা হন এবং মাত্র ছয়বছর বয়সে চিরকল্যাণকামী জননীকে ও হারান। এবার তারঁ প্রতিপালনের দায়িত্ব বর্তায় বৃদ্ধ পিতামহ আব্দুল মুত্তালিবের উপর। ৫৭৯ খ্রি. আব্দুল মুত্তালিবও পরলোক গমন করেন। এবং আব্দুল্লাহর এতিম শিশুটির দায়িত্ব অর্পিত হয় পিতৃব্য আবু তালিবের উপর।
পিত্যব্য আবু তালিবের গৃহেই মুহাম্মদ সাঃ এর শৈশব ও কৈশারকাল অতিবাহিত হয়। শান্তও মধুর ব্যবহার এবং মানুষের দুঃখে কাতর হওয়ার জন্য তিনি তারঁ ক্ষদ্র গন্ডিতে অতীব প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেনগরীব .দুর্বল অসহায় এবং মজলুম জনগণকে জালিম ও শোষক শ্রেণীর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শান্তি কমিটি নামক হিলফুল ফুজুল সংগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সদস্য ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মদ সাঃ। প্রসিদ্ধ মতানুসারে এই সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৫৯৫ খ্রি.।