খিলাফাতে রাশেদা

0/5 No votes

Report this app

Description

 ইসলাম মুলগতভাবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র-ব্যবস্থ। এই রাষ্ট্র-ব্যবস্থাকে বাস্তবকে রূপদান করার সুমহান দায়িত্ব পালন করিয়াছেন। খোদ ইসলামেরই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ। নবুয়্যতের সুদীর্ঘ তেইশ বৎসরে মানুষের সামস্টিক জীবন সম্পর্কে যেসব আইন-কানুন ও বিধি-ব্যবস্থা অবতীর্ণ হইয়াছে।

উহার সবকিছুই তিনি বাস্তবায়িত করিয়াছেন পুরাদস্তুর একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আওতায়। শাসন-প্রশাসন, আই প্রনয়ন, সামাজিক শৃংখলা রক্ষা, বিচার কার্য সম্পাদন, রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বিধান ইত্যাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজই তিনি সম্পাদন করিয়াছেন।

সেই একই আইন কানুন ও বিধি ব্যবস্থার আলোকে। এইভাবে ইসলামী রাষ্ট্র-ব্যবস্থার একটি স্থায়ী বুনিয়াদ তিনি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন নবুয়্যতের তেইশ বৎসরেই। মহানবী সাঃ-এর তিরোধানের পর সেই স্থায়ী বুনিয়াদের উপরই গড়িয়া উঠিয়াছে ইসলামের আদর্শ রাষ্ট্র-ব্যবস্থা-খিলাফতে রাশেদা।

হযরত আবূ বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান, হযরত আলী রাঃ- মহানবী সাঃ-এর চার ঘনিষ্ঠ সহচর পরশ যত্নে ও মমতায় বিন্যস্ত ও বিকশিত করিয়অ তুলিয়াছেন নবুয়্যতী ধারার এই রাষ্ট্র-ব্যবস্থাকে। শুধু তাহাই নহে, ইহার পরিধিকে তাঁহারা সম্প্রসারিত করিয়াছেন আরব উপদ্বীপের সীমানা অতিক্রম করিয়া গোটা ইরান ও রোমান সাম্রাজ্যের বিশাল অঞ্চল জুড়িয়া।

বস্তুতঃ মানব জাতির ইতিহাসে একমাত্র এই রাষ্ট্র-ব্যবস্থাই যে স্বর্নোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করিতে পারিয়াছে, তাহা অকাট্যরূপে প্রমাণতি হইয়াছে। আধুনিক রাষ্ট্র-বিজ্ঞানীরা যত চমকপ্রদ তন্ত্রমন্ত্রই উদ্ভাবন করিয়া থাকুন না কেন, মানবতার কল্যাণ সাধনে নবুয়্যতী ধারার।

এই খিলাফতের ন্যায় বিপুল সাফল্য কোন পদ্ধতিই আর অর্জন করিতে পারে নাই, ইহা এক ঐতিহাসিক সত্য। দুর্ভাগ্যবশতঃ নবুয়্যতী ধারার এই খিলাফতের দুনিয়অর বুকে টিকিয়া ছিল মাত্র তিরিশ বৎসর। ইহার পরই রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের অভিশাপ নামিয়া আসিয়াছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments