খাওয়ার আদব বইটিতে শুধু খাওয়ার আদবই বর্ণিত হয়নি। বরং তাতে মুসলমানদের জীবনযাপনের বেশকিছু জুরুরী বিষয়াদিও বর্ণিত হয়েছে। এটি একটি উর্দু কিতাবের বঙ্গানুবাদ। আর আমরা এই অনুবাদ কর্মটি সম্পন্ন করেছি শুধু এই কারণে যে, এতে সন্নিবেশিত কতিপয় তথ্য আমাদের অজানা। সত্যি বলতে কি, এগুলো বিনা তাহাকীকেই সাধারণ যুগ যুগ ধরে আমল হয়ে আসছে।
মাওলানা ত্বাকী উসমানীর লিখনীতে যখন তা উদ্ভাসিত হলো, তখন ভাবলাম, এখনই তা বাংলা ভাষায়ও প্রকাশিত হওয়া চািই। যাতে সাধারণ পাঠকবর্গ তাদের দ্বিধা-দ্বন্ধ দূর করতে পারেন এবং আলিম সমাজও পাবেন তথ্য ও তত্ত্ব খুঁজে বের করতে। এভাবেই আশা করা যায়, ‘সঠিক’ ও ‘বেঠিক’ দিবসের আলোর মতো পরিস্ফুটিত হয়ে উঠবে
মাওলানা ত্বকী ওসমানী (দাঃ বাঃ) বর্তমান এলমী দুনিয়ার একটি নক্ষত্র। তিনি সকলের কাছে সমভাবে বরেণ্য ও মান্য। সুতরাং পুস্তিকায় সন্নিবেশিত বিষয়াদির ব্যাপারে আমরা আপাদত দায়মুক্ত।
নবীজি সাঃ আমাদের সব কিছু শিখিয়ে গেছেন। কিভাবে, কখন, কোন সময়, কি পরিস্থিতিতে, কি করতে হবে তার সকল কিছু নিজ হাতে, মুখে, বা ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা অনুমতির মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন। নবী সাঃ যেভাবে মানব জীবনের প্রতিটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রেখে গেছেন, সেভাবে খানা পিনার বিষয়েও তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আমাদের জন্য রেখে গেছেন।
একদা এক মুশরিক ইসলামের বিপক্ষে মন্তব্য করে সাহাবী হযরত সালমান ফারসী রাঃ কে বললেন, “তোমাদের নবী দেখি তোমাদের একেবারে (ছোটখাট) সবকিছুরই শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এমনকি ইস্তিঞ্জা সম্পর্কিত বিষয়গুলিও খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন।