রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও অবাধ্যতায় বর্তমান যুগের লোক দুভাগে বিভক্ত।
তাদের মধ্যে অনেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষেত্রে এমন বাড়াবাড়ি করে যে, তাদের কার্যক্রম শিরকের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। [আল্লাহর নিকট এ থেকে আশ্রয় চাই] অনেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরীকা ও তাঁর সীরাত-আদর্শের অনুসরণ হতে উদাসীন। তারা তা নিজেদের জীবনে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে না।
অতএব, সে সমস্তলোককে তাঁর সীরাতের নিকটতম করার ও তাদের জীবনের ক্ষেত্র সমূহে তা ধারণ করবে এ আশায় অতি সহজ ও সরলভাবে কয়েক পৃষ্ঠায় তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পেশ করছি; যা তাঁর সকল দিকগুলোর জন্য অবশ্যই যথেষ্ট নয়; বরং তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ বৈশিষ্ট্য ও জীবন-চরিত্রের এক ঝলক বা কিছু ধারনা মাত্র । মানুষের জীবনে অতি জরুরী এমনই কিছু অতি সংক্ষেপে তুলে ধরেছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাদর্শ একটি পরিপূর্ণ জীবনাদর্শ। আর তিনি হলেন যাবতীয় সৎকর্ম ইবাদত, উত্তম চরিত্র, লেন-দেন, আচার- আচরণের শ্রেষ্ঠতম অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন-নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। [সুরা কালাম , আয়াত নয় :৪] আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ মর্যাদা প্রদান করে থাকে যে মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাকে প্রদান করেছেন।
এ ভিত্তিতে তাদের বিশ্বাস হল, তিনি আল্লাহর বান্দা, তাঁর রাসুল ও অন্তরঙ্গ অকৃত্রিম বন্ধু। তারা তাঁকে তাদের সন্তান-সন্তাদি, পিতা-মাতা এমনকি নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসে। তাঁর ব্যাপারে তারা কোন প্রকার বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্গন করে না। বরং আল্লাহ প্রদত্ত মান-মর্যাদাই তাঁর জন্য যথেষ্ট মনে করে। আর আমরা ও এ বিশ্বাসই পোষণ করে থাকি ।