আল কুরআন বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র ঐশী জ্ঞানের ভান্ডার যা পৃথিবীর কোন মানুষের রচিত নয়। অনুরূপভাবে আল হাদীসও তাই। মানব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের দিক নির্দেশনা কুরআন ও হাদীসে রয়েছে। অজস্র তত্ত্ব-তথ্যে ভরপুর কুরআন ও হাদীসে বহু ভবিষ্যদ্বাণীও রয়েছে।
এগুলোর মধ্য থেকে ৩৫টি ভবিষ্যদ্বাণীরি উপর এ পুস্তুকে আলোচনা করা হয়েছে। এ পঁয়ত্রিশটি ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে ১৬ টি ভবিষ্যদ্বাণী অনেক আগেই সত্যে পরিণত হয়ে গেছে। যেমন- তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তি রো ও পারস্য সাম্রাজ্যকে পরাজিত করে তাদের সম্পদ মুসলমানদের হস্তগত করার ভবিষ্যদ্বাণী, খেলাফতের মেয়াদ ৩০ বছর, সাহাবীদের যুগ ১০০ বছর টিকে থাকার ভবিষ্যদ্বা।
১১টি ভবিষ্যদ্বাণী সত্যে পরিণত হয়ে এখনো সত্য হিসেবে বর্তমান রয়েছে। যেমন – ফেরাউনের মৃতদেহ ও নূহ আঃ এর নৌকা সংরক্ষিত থাকা এবং ইহুদীদের চিরদিন লাঞ্চিত ও অপমানিত থাকার ভবিষ্যদ্বাণী। অবশিষ্ট ৮টি ভবিষ্যদ্বাণী এখনো সংঘটিত হয় নি। ভবিষ্যতে অবশ্যই সত্য হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যেমন- ইসলাম ও মুসলমানদের পুনরায় বিশ্বব্যাপী বিজয়ী হওয়া এবং ভারতবর্ষের (হিন্দুস্তানের) যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী ইত্যাদি।
এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ব্যক্ত করা হয়েছিল ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোটামুটি ২২ বছর সময়কালের মধ্যে। আর এগুলো সত্যে পরিণত হয়েছে কোন কোনটি ১০ বছরের মধ্যে, কয়েকটি ৪০/৫০ বছরের মধ্যে। এবং কোনটি ১০০ বছর এবং পরবর্তী কয়েক শতাব্দিতে।
ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে মানুষের কৌতুহল সহজাত। ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা জানতে কে না আগ্রহী। এজন্য ভবিষ্যদ্বক্তা, গণক বা জ্যোতিষীদের এত কদর। অথচ এরা ভবিষ্যতেরি বিষয় সম্পর্কে মোটেও অবহিত নয়। এরা জ্ঞান বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যে সব ভবিষ্যদ্বাণী করে তা কখনো সত্য হয়। তবে কোন জ্যোতিষী শতকরা একশ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। এবং করতে পারে বলে দাবিও করেন না।