এ দেশের শিক্ষিত সমাজে হযরত শাহ অয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেন না আদৌ। তেমনি রাখে না তাঁর বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল ফাওযুল কবীর ফী উসুলিত তাফসীর’। আরবী, ফারিসী ও উর্দু এই তিন ভাষাতেই এ গ্রন্থ গোটা মুসলিম জাহানে ছড়িয়ে আছে। প্রায় সব দেশেরই ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরের ক্লাশসমূহে এ গ্রন্থ পাঠ্য হয়ে চলেছে বহু দিন থেকে। আমি তার বাংলা অনুবাদ করে নাম দিলাম ‘কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি’।
এ গ্রন্থ কূপে সমুদ্রে এসে ঠাঁই নিয়েছে। তাই তার মন্থন করে তলদেশ থেকে মনিমুক্তা আহরণ করে সবাইকে উপহার দেয়া যেন তেন ডুবুরির কাজ নয়। সেক্ষেত্রে আমার মত নগণ্য ডুবুরী যদি কিছুমাত্র সফলতাও অর্জন করে থাকে, তা নেহাত আল্লাহর অনুগ্রহ ও মুল গ্রন্থাকারের আমর প্রেরণা শক্তির ফল শ্রুতি বৈ আর কিছুই নয়।
তাই এ অনুবাদক তার অনুবাদ কার্যের জন্যে কোনই কৃতিত্বের বাপ্রশংশার দাবী রাখে না। প্রশংসা ও কৃতিত্বের মালিক- মোখতার একমাত্র বিশ্ব প্রতিপালক। অনুবাদক বরং তার দ্বারা বাংলা ভাষায় এ বিরাট খেদমতটি প্রথম সম্পাদনের সুযোগ দানের জন্যে আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এ কার্যটি দ্বারা বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের কাহারও যদি কুরআন বুঝার কিছুমাত্র সুযোগ-সুবিধা ঘটে, তা হলেই শ্রম সার্থক মনে করব। মহান আল্লাহ আমার এ শ্রমটি তাঁর দরবারে সেবা হিসেবে প্রহণ করলে জীবন সার্থক ভাববো।